শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

টাকা ফেরত পেতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চাইলেন পিপলস লিজিংয়ের আমানতকারীরা

আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:৩৮

পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের প্রায় ৬ হাজার ব্যক্তি তাদের অর্থ পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তা চেয়েছেন।

আজ শনিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এ বিষয়ে আমানতকারীরা একত্রিত হয়েছিলেন। এসময় আমানতকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনটি দাবি তুলে ধরেন।

এগুলো হচ্ছে- পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসকে অবসায়ন না করে পদ্মা ব্যাংকের মত পুনর্গঠন অথবা অন্য যেকোনো উপায়ে ব্যক্তি আমানতকারীদের কষ্টার্জিত সঞ্চয় দ্রুত ফেরত প্রদান। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যক্তি আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে হবে। এবং অবিলম্বে পিপলস লিজিংয়ের সাথে জড়িত দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করতে হবে। বিশেষ করে দোষী ব্যক্তিরা যাতে বিদেশ পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য তাদের বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা, তাদের সম্পত্তি, ব্যাংক হিসাব জব্দ করার ব্যবস্থা করতে হবে।

পিপলস লিজিংয়ের বর্তমান আমানত ২ হাজার ৩৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৩শ কোটি টাকা রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের। বাকি ৭শ কোটি টাকা ৬ হাজার ব্যক্তি শ্রেণির আমানত। প্রতিষ্ঠানটি ঋণ দিয়েছে ১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭৪৮ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ। এটি মোট ঋণের ৬৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। খেলাপি ঋণের বড় অংশই নিয়েছে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা।

ধারাবাহিকভাবে লোকসানের কারণে ২০১৪ সাল থেকে পিপলস লিজিং লভ্যাংশ দিতে পারছে না। তবে আমানতের বিপরীতে কাগজকলমে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ হাজার ২৬৯ কোটি টাকার সম্পদ দেখানো হলেও বাস্তবে তিন ভাগের এক ভাগও নেই বলে জানা গেছে।

১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর পিপলস লিজিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পায়। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।

ইত্তেফাক/এমআর