শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

এসআইবিএলের হাত বদল নিয়ে গুঞ্জন

আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০২:২৮

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের মালিকানায় আবারও পরিবর্তন আসছে—এমন গুঞ্জন উঠেছে। বিআরবি গ্রুপ ও আল হারামাইন গ্রুপ নতুন করে এ ব্যাংকের মালিকানায় আসছে বলে ব্যাংকটিতে আলোচনা চলছে। নতুন এ পরিবর্তনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে এরই মধ্যেই পরিবর্তন এসেছে বলে ব্যাংকের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।


গতকাল মঙ্গলবার সারা দিনই ব্যাংকটির হেড অফিসসহ শাখা অফিসগুলোতে ‘টক অব দ্য ডে’ ছিল ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে—এমন খবর। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে এমন খবর গিয়েছিল যে, ব্যাংকের এমডি, মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান, প্রধান অর্থ কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের কয়েক জনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এসব খবরে ব্যাংকের দৈনন্দিন লেনদেন বাদে অন্যান্য কাজে স্থবিরতা শুরু হয়। বিশেষ করে, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সারা দিনই থমথমে ভাব ছিল।

এ বিষয়ে এসআইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী ওসমান আলী বলেন, মালিকানা পরিবর্তন বিষয়ে যেসব কথাবার্তা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন, গুজব। এমন কোনো ঘটনা এখানে ঘটেনি। সবকিছু ঠিকঠাকই আছে।

বিআরবি গ্রুপ ব্যাংকের মালিকানায় যাচ্ছে কি না—সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে বিআরবি কেব্ল ইন্ডাট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. পারভেজ রহমান ইত্তেফাককে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’

আরও পড়ুন: প্রতি এনআইডিতে রোহিঙ্গাদের খরচ হতো ৩০ হাজার টাকা

এর আগে চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপ ২০১৭ সালে এ ব্যাংকের মালিকানায় আসে। সে সময় ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসে। দেশের অনেকগুলো ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় রয়েছে এ গ্রুপ। বিশেষ করে দেশের আটটি ইসলামিক ব্যাংকের মধ্যে ছয়টির মালিকানায় রয়েছে এস আলম গ্রুপ। তাই সরকারের উচ্চমহল থেকে এ গ্রুপকে দু-একটি ব্যাংক ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেছে। তারই অংশ হিসেবে এ ব্যাংকটি ছেড়ে দিচ্ছে এস আলম গ্রুপ। এ গ্রুপ যখন মালিকায় আসার আগেও নানা গুঞ্জন উঠেছিল। পরে তা সত্য হয়েছিল। এজন্য এখনকার এ গুঞ্জনকে অনেকেই গুরুত্ব সহকারে দেখছেন।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘কথা যা-ই হোক মালিকানা পরিবর্তন হতে হলে শেয়ার কিনতে হবে এবং শেয়ার পরিবর্তন হতে হবে। এখন পর্যন্ত শেয়ার বিক্রি বা পরিবর্তনের কোনো খবর আমরা পাইনি।’

ইত্তেফাক/এসি