বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দ্বিগুণ হচ্ছে চেক ডিজ-অনারের শাস্তি

আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ০৪:১৫

চেক ডিজ-অনারের শাস্তি বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে চেক ডিজ-অনারের (চেক প্রত্যাখ্যান) শাস্তি সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড। এ মেয়াদ বাড়িয়ে দুই বছর করা হচ্ছে। শুধু কারাদণ্ডই নয়, চেক ডিজ-অনারের জরিমানাও তিন গুণ থেকে বাড়িয়ে চার গুণ করা হচ্ছে। নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট ১৮৮১ সংশোধন করে বিনিময়যোগ্য দলিল আইন ২০২০ নামে নতুন আইন করা হবে।

সংশ্লিষ্টদের মতামতের জন্য আইনটির খসড়া ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে বিনিময়যোগ্য দলিল আইন, ২০২০-এর খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতামতের পর আইনটি চূড়ান্তভাবে প্রণয়ন করা হবে।

বর্তমানে নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টে চেক ডিজ-অনারের মামলায় এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট যে পরিমাণ টাকা উল্লেখ করা হয়, তার তিন গুণ জরিমানা করা হয়। অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।

নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি তার কোনো ব্যাংকের হিসাবে অপর কোনো ব্যক্তিকে যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধের জন্য চেক লিখে দিয়েছেন, কিন্তু ব্যাংক হিসাবে যে পরিমাণ টাকা আছে তা দিয়ে চেক সমন্বয় করা সম্ভব না হয়, আবার উক্ত হিসাব থেকে টাকা পরিশোধের জন্য ব্যাংকের সঙ্গে যে পরিমাণ টাকার চুক্তি করা হয়েছে, তা অতিক্রান্ত হওয়ায় কিংবা স্বেচ্ছায় ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে লেনদেন স্থগিত বা বন্ধ করার কারণে ব্যাংক কর্তৃক উক্ত চেকটি অপরিশোধিত হয়ে ফেরত এলো, তাহলে ওই ব্যক্তির মাধ্যমে অপরাধ সংঘটন করেছে বলে বিবেচিত হবে।

এ অপরাধে অপরাধী নতুন এ আইনে সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর মেয়াদ পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা চেকে লিখিত অর্থের চারগুণ অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একইসঙ্গে দি নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট, ১৮৮১ রহিতক্রমে তা পরিমার্জনপূর্বক সময়োপযোগী করে নতুনভাবে প্রণয়ন করা সমীচীন। একই নতুন আইনে শিরোনাম করা হয়েছে বিনিময়যোগ্য দলিল আইন-২০২০।

বিনিময়ের উপাদন সংক্রান্ত আইন নিয়ে ১৮৮১ সালে তৈরি করা হয়েছিল হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১ (দ্য নিগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট, ১৮৮১)। এই আইনের মাধ্যমেই প্রমোজারি নোট (অঙ্গীকারপত্র), বিনিময় বিল (বিল অব এক্সচেঞ্জ) এবং চেক ডিজ-অনারের ক্ষেত্রে ব্যবহারে হয়ে আসছে।

চেক ডিজ-অনারের ক্ষেত্রে খসড়া আইনে বলা হয়েছে, আদায়কৃত জরিমানা উহার ধারককে পরিশোধ করতে হবে। এই আইনে কোনো কিছুই ধারককে, চেকের অপরিশোধিত অংশ আদায়ের জন্য দেওয়ানি মোকদ্দমা করিবার অধিকার হতে বঞ্চিত করবে না। কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে চেক গ্রহণ করবে না বা রাখবে না। আপিলের ক্ষেত্রে বাধা-নিষেধ সম্পর্কে আইনে বলা হয়েছে— ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ১৩৮-এর যে কোনো উপধারার আওতায় প্রদত্ত রায়ের বিপরীতে আপিল করিবার পূর্বে প্রত্যাখ্যাত চেকের পরিমাণের ৫০% অর্থ রায় প্রদানকারী আদালতের কাছে জমা দিতে হবে।

ইত্তেফাক/জেডএইচ