শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাংলাদেশের ক্ষতি জিডিপির ০.৪% পর্যন্ত হতে পারে :এডিবি

আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২০, ০৮:২৫

করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষতির পরিমাণ মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) শূন্য দশমিক ২ থেকে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলে উল্লেখ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তবে করোনা ভাইরাসের প্রভাব যদি দীর্ঘায়িত হয় সেক্ষেত্রে এই ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।

গতকাল প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০২০’ প্রতিবেদনে এমনটি উল্লেখ করা হয়েছে। সারা বিশ্বে যখন অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়ে গেছে তখন বাংলাদেশের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির আশা করছে এডিবি। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগের আট মাসের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) তথ্য বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, করোনার প্রভাব না থাকলে চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। আগামী অর্থবছর এই প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। তবে এর জন্য রাজনৈতি স্থিতিশীলতা, ভোক্তাদের আস্থা ও আমদানি-রপ্তানির গতি ঠিক থাকতে হবে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্প্রসারণশীল মুদ্রানীতি এবং অনুকূল আবহাওয়া থাকতে হবে।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ প্রতিবেদনের বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, কোভিড-১৯-এর মহামারির প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাথমিক একটি ক্ষতির হিসাব করা হয়েছে যা জিডিপির শূন্য দশমিক ২ থেকে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ পর্যন্ত। যদি মহামারির প্রভাব বেশি হয় সেক্ষেত্রে এই ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি হতে পারে।

করোনার প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করে মনমোহন প্রকাশ উল্লেখ করেন, বৃহত্তর ঝুঁকি বিবেচনায় বন্ধ ঘোষণা এবং অর্থনীতির ঝুঁকি মোকাবিলার উদ্যোগ ক্ষতি কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে।

এডিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার প্রভাবের আগের আট মাসে বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে ছিল। আগের (২০১৮-১৯) অর্থবছর ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের শুরুতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়েছে। বছরের শুরুতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি, বিদ্যুত্ উত্পাদন বৃদ্ধিসহ সরকারি নানা উদ্যোগ রপ্তানির গতি বেড়েছিল। এক অঙ্কের সুদহার, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা উদ্যোগ বিনিয়োগ বাড়াতে উত্সাহিত করেছিল। মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে রাজস্ব আদায় কমে যাওয়া বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য মূল চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

এডিবি উল্লেখ করেছে, জিডিপির তুলনায় কম রাজস্ব আদায় দিয়ে উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া এবং দারিদ্র্য বিমোচন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। কর কাঠামো পুনর্বিন্যাস করে রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে। বাজেটে স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে এডিবি।


ইত্তেফাক/আরকেজি