চাল নিয়ে কারসাজি রোধে ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিদেশ থেকে চাল আমাদানির কথা ভাবছে সরকার। এজন্য প্রয়োজনে আমদানি শুল্ক কমানো হবে।
গতকাল মঙ্গলবার খাদ্য মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে বোরো সংগ্রহে মিলারদের সঙ্গে খাদ্য অধিদপ্তরের যে চুক্তি হয়েছে তা মানছেন না মিলাররা। তারা চালের সংগ্রহ মূল্য বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। কিন্তু সরকার কোনোভাবেই চালের সংগ্রহমূল্য বাড়াবে না। কারণ, সংগ্রহমূল্য বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
গতকাল খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। দেশে যথেষ্ট পরিমাণে ধান-চাল রয়েছে। এর পরও যদি একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা চালের বাজার অস্থিতিশীল করে ও সরকারের গুদামে চাল দিতে মিলাররা গড়িমসি করে তাহলে আমদানি শুল্ক কমিয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হবে।
গতকাল রাজধানীর বাজারে সরু চাল নাজিরশাইল/মিনিকেট ৫২ থেকে ৬৫ টাকা, মাঝারি মানের চাল পাইজাম/লতা ৪৫ থেকে ৫২ টাকা ও মোটা চাল ইরি/স্বর্ণা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। যা গত এক মাসের ব্যবধানে মানভেদে প্রতি কেজি চালে চার থেকে পাঁচ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।