করোনা ভাইরাস থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টার মধ্যে বিশ্বের দুই পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বাড়ায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে চীনের কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর শুক্রবার চীন দেশটির চেংডুতে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এর পরই পতনের ধারা শুরু হয় বিশ্ব শেয়ারবাজারে। বিশেষত বড় ধাক্কা লেগেছে এশিয়ার শেয়ারবাজারে। এছাড়া ইউরোপের বড় শেয়ারবাজারগুলোতেও দিনের শুরু হয়েছে পতনের মধ্য দিয়ে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে অনুযায়ী, সাংহাই কম্পোজিট সূচক কমেছে প্রায় চার শতাংশ। হংকং হাংসেং (এইচএসআই) কমেছে দুই শতাংশ। এশিয়ার অন্যান্য শেয়ারবাজারও পড়তির দিকে। প্রযুক্তিনির্ভর জায়ান্ট টেনচেট, আলিবাবার মতো বড় প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর কমেছে ব্যাপকহারে।
ইউরোপে দিনের প্রথমভাগে লেনদেন শুরুর পর শেয়ারদর কমেছে ব্যাপকহারে। জার্মানির ডিএএক্স কমেছে ২ শতাংশ, ফ্রান্সের সিএসসি ফরটি দুই শতাংশ আর লন্ডনের এফটিএসই কমেছে এক দশমিক সাত শতাংশের মতো।
নতুন করে এয়ারলাইন্সগুলোতে যাত্রী কমতে শুরু করেছে। রেস্টুরেন্ট এবং থিয়েটারগুলোতেও পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অর্থনৈতিক কার্যক্রম ধীরে ধীরে শুরু হলেও বিশ্বের দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির উত্তেজনা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য নতুন ভয় তৈরি করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইত্তেফাক/ইউবি