ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে সব ধরনের কর অব্যাহতি চায় বাংলাদেশ। একই সঙ্গে রাজনৈতিক কারণে বা ভারতীয় আইন পরিবর্তনের কারণে নতুন করে আর্থিক সংশ্লেষ তৈরি হলে তা থেকেও অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে।
বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতাসংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ১৯তম সভায় এ দাবি উত্থাপন করা হয়। গত শনিবার রাজধানীতে একটি হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎসচিব মো. হাবিবুর রহমান এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সে দেশের বিদ্যুৎসচিব সঞ্জীব নন্দন সাহাই।
আরও পড়ুন: কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলে নিয়মিত করদাতারা নিরুৎসাহিত হবে
গতকাল রবিবার জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎখাতে পারস্পরিক সহযোগিতাসংক্রান্ত চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। ভেড়ামারা ও বহররমপুর ইন্টারকানেকশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনার পাশাপাশি এর দ্বিতীয় ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। এ সময় প্রস্তাবিত কাটিহার-পার্বতীপুর-বরানগর ৭৬৫ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন বাস্তবায়নের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়েছে। জিএমআর কর্তৃক নেপালে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশে আমদানির অগ্রগতি এবং ভুটানে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের যৌথ বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভাসূত্র জানায়, বাংলাদেশের করসংক্রান্ত অনুরোধ-দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি ভারতীয় প্রতিনিধিদল। পরবর্তীতে তারা এ বিষয়ে উত্তর দেবে বলে জানিয়েছে। এর আগে গত বছরের মার্চে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতাসংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটি ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ১৮তম সভা গত বছরের মার্চ মাসে ভারতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখনো বাংলাদেশ সিডি, ট্যাক্স ও ভ্যাট থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছিল। কিন্তু সে আলোচনা আর এগোয়নি।
ইত্তেফাক/কেকে