শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঋণ পরিশোধে তিন বছর সময় চায় বিএবি

আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৯:৪৭

করোনা ভাইরাসের কঠিন সময়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো চালু রেখে প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে ঋণখেলাপির হাত থেকে রক্ষা পায় সেজন্য ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে। ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের কাছে এ বিষয়ে অনুরোধ করেছে।

বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের পাঠানো ঐ চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসমূহ এখনো কোভিড-১৯-এর ভয়াবহ প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি। আর সংক্রমণও একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে দেশের অধিকাংশ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তাদের সক্ষমতার অর্ধেক উৎপাদন করছে। একই সঙ্গে বিশ্ববাজারের অবস্থা খারাপ হওয়ায় গার্মেন্টস কোম্পানিগুলোর ওয়ার্কঅর্ডার ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন ব্যাবসায়িক খরচ মিটিয়ে মুনাফা পর্যায়ে যাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

সম্প্রতি ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করলে কোনো ঋণখেলাপি করা যাবে না এমন প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ আর বাড়ছে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরিবর্তে ঋণের কিস্তি পরিশোধ সহজ করতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে কেবলমাত্র মেয়াদি ঋণের অবশিষ্ট মেয়াদের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ সময় বাড়ানো যাবে। এ উপায়ে বাড়ানো সময়সীমা কোনোভাবেই দুই বছরের বেশি হবে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সপ্তাহে সার্কুলার জারি করে।

এমন পরিস্থিতিতে বিএবি বলছে, নতুন সার্কুলারে ব্যবসায়ীরা কিছুটা সুবিধা পাবে সন্দেহ নেই। কিন্তু যাদের অবশিষ্ট মেয়াদ খুবই কম তাদের ক্ষেত্রে স্বল্প সময়ে বিরাট অঙ্কের ঋণ বা বিনিয়োগ পরিশোধ করা খুবই দুষ্কর হবে। এজন্য উদ্যোগকে আরও ব্যবসাবান্ধব ও বাস্তবভিত্তিক করার নিমিত্তে এ মেয়াদ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্য ক্যাশ-ফ্লোকে বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম আরও তিন বছর বাড়ানো সুপারিশ করেছে বিএবি।

অন্যদিকে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে এক বছর সময়ের মধ্যে পরিশোধিতব্য বিনিয়োগ সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি সার্কুলারে। এক্ষেত্রে চলমান বা তলবি বিনিয়োগের পরিশোধযোগ্য অংশ শূন্য ডাউনপেমেন্টের মাধ্যমে মেয়াদি ঋণ হিসাবে ন্যূনতম তিন বছরে রিসিডিউলিংয়ের মধ্য দিয়ে পরিশোধের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।

ইত্তেফাক/কেকে