২০২১-২২ অর্থবছরে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য ৪ হাজার ১৯১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৩ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ নারী শিশু উন্নয়নে গত বছরের চেয়ে ৩৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কোনো থোক বরাদ্দ থাকছে না। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, শিশু দিবাকেন্দ্র আইন, ২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে, যা শিগগির জাতীয় সংসদে পাশ করা হবে।
এছাড়া এবার নারী উদ্যোক্তাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থাত্, নারী উদ্যোক্তারা বছরে ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করলে কোনো কর দিতে হবে না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ অনুসরণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ক্ষমতায়ন, জেন্ডার বৈষম্য দূরীকরণ ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্তকরণে কাজ করছে সরকার। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুসারে নারীর মানবিক সক্ষমতা, অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও সুবিধা বৃদ্ধি, নারীর কণ্ঠস্বর ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করারা লক্ষ্যে নারীর জন্য অবকাঠামো ও যোগাযোগ পরিষেবা বৃদ্ধি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদার করার কথা বলা হয়।
শিশুশ্রম নিরোধ, নারী ও শিশুদের সংকট থেকে সুরক্ষায় সরকার সচেষ্ট। কোভিড-১৯ প্রতিঘাত মোকাবিলায় এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে নারীর জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দরিদ্র গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য ও গর্ভস্থ সন্তানের পুষ্টি চাহিদা পূরণে মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং কর্মজীবী লেকটিটিং সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। নারীর কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম চলছে।
ইত্তেফাক/জেডএইচডি