হাতে তৈরি পণ্য রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তার পরিধি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হোগলা, খড়, আখের বা নারিকেলের ছোবড়া, গাছের পাতা বা খোল, গার্মেন্টসের ঝুট কাপড় ইত্যাদি। এসব পণ্য উৎপাদনে হাতের ব্যবহারের পাশাপাশি প্রয়োজনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে। এই সুবিধা আগে ছিলো না।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একাটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাতে তৈরি পণ্য (হোগলা, খড়, আখের বা নারিকেলের ছোবড়া, গাছের পাতা বা খোল, গার্মেন্টসের ঝুট কাপড় ইত্যাদি) রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে প্রচলিত জাতীয় শিল্পনীতি অনুযায়ী উৎপাদন প্রক্রিয়ায় হাতের ব্যবহারের পাশাপাশি প্রয়োজনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে।
তবে কিছু শর্ত রয়েছে। সেগুলো হলো— উৎপাদন কার্যক্রমে আধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কায়িক শ্রমের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা থাকতে হবে। যন্ত্রপাতি ও কায়িক শ্রম ব্যবহারের সপক্ষে পোষক কর্তৃপক্ষ-এর নিবন্ধন থাকতে হবে। জাহাজীকরণের দিন থেকেই এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে।
আলোচ্য রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তার আবেদনপত্রের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুমোদিত সংশ্লিষ্ট খাতের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাসোসিয়েশনের প্রত্যয়নপত্র সংযোজন করতে হবে। আলোচ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে জারিকৃত অন্যান্য প্রজ্ঞাপনপত্রের প্রযোজ্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
ইত্তেফাক/এমআর