চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। আগের অর্থবছরের সঙ্গে মিল রেখেই এ খাতে প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ধরা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে মুদ্রানীতির ঘোষণাপত্র আপলোড করা হয়েছে।
আগে সব সময় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হতো। যেখানে সাংবাদিকরা বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ পেতেন। এবারই প্রথম ওয়েবসাইটে মুদ্রানীতি প্রকাশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। অথচ করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির মত বাংলাদেশের অর্থনীতিও স্থবির হয়ে পড়েছে। এ স্থবির অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার দরকার। এ বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করলে ভালো পরামর্শ পাওয়া যেত বলে সংশ্লিষ্টরা মত দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক আগে প্রতি ৬ মাসের আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণা করলেও গত অর্থবছর থেকে তা এক বছরের জন্য করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত অর্থবছর বেসরকারি খাতে ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ঋণ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরলেও মে পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ হার যে শুধু করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কমেছে, তা নয়। গত দুই অর্থবছরই ঋণ প্রবৃদ্ধি কমতির দিকে।
মুদ্রানীতি ঘোষণায় লিখিত বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, করোনা মহামারির ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে দেশীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি মানসম্মত নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করতে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গেই সম্প্রসারণমূলক ও সংকুলানমুখী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এই মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। মুদ্রানীতির মূল কাজ হলো মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা।
ইত্তেফাক/ইউবি