বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভোমরা স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায় ৮৬৭ কোটি টাকা

আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৩৫

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮৬৭ কোটি ৩৩ লাখ ৮৬  হাজার ৭৬৩ টাকা। গত নয় মাসের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এখনও ৩৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ঘাটতি রয়েছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসের তুলনায় ২০৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় বেশি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সূত্রটি আরও জানায়, গত অর্থবছর জুলাই-মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছিলো ৬৬২ কোটি নয় লাখ টাকা।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এ বন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৯০৩  কোটি ৭২ লাখ টাকা। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৬৪ কোটি ৮৬ লাখ, আগস্টে ৮৪ কোটি ৮৭ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৫৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা,  অক্টোবর মাসে ৮০ কোটি ৬২ লাখ, নভেম্বরে ১১১ কোটি পাঁচ লাখ, ডিসেম্বরে ১১৭ কোটি ২৭ লাখ, জানুয়ারিতে ১১৬ কোটি ৭৬ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ১৩৭ কোটি ৫৮ লাখ এবং মার্চে ১৩২ কোটি ১৪ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

সূত্রটি জানায়, এ লক্ষ্য সামনে রেখে গত নয় মাসে এ বন্দর থেকে রাজস্ব আদায় করেছে ৮৬৭ কোটি ৩৩ লাখ ৮৬  হাজার ৭৬৩ টাকা। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৪৭ কোটি ৬৪  লাখ, ৯৪ হাজার ১২৭, আগস্টে ৬০ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭০৩, সেপ্টেম্বরে ৮৮ কোটি ৪৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৭৩ টাকা,অক্টোবরে ৮৫ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৬৬০, নভেম্বরে ১০৮ কোটি ২৮ লাখ, ডিসেম্বরে ৬৭ কোটি ৩৩, জানুয়ারিতে ১৪০ কোটি ৪৩ লাখ, ৯৭ কোটি ৫৩ লাখ এবং মার্চে ১১৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। 

ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, ভোমরা স্থলবন্দর অনেক সম্ভাবনাময় হলেও পণ্য আমদানিতে নানা বৈষম্যের শিকার। পুর্ণাঙ্গ বন্দর হওয়ার পরও সকল পণ্য আমদানি করতে পারে না এখানকার ব্যবসায়ীরা। ফলে অল-আইটেম পণ্য আমদানির সুযোগ দিলে সরকারের রাজস্ব যেমন বাড়বে তেমনি ভোমরা বন্দরে ব্যবসা বাণিজ্যেও আরো প্রসার ঘটবে।

আরও পড়ুন: নারী চিকিৎসককে যৌন হয়রানি, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নালিশ করেছিলেন চেয়ারম্যানের কাছে
 
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের কাস্টমস বিভাগীয় সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান জানান, গত ৯ মাসের লক্ষ্য অনুযায়ী এখনো ৩৬ কোটি টাকার উপরে রাজস্ব ঘাতটি রয়েছে। তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতা দেখা না দিলে আশা করা হচ্ছে বাকি ৩ মাসে অর্থবছরের লক্ষ্য অর্জিত হবে।

ইত্তেফাক/অনি