কৃষিখাতে শ্রমিক সংকট নিরসনে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও)। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার প্রতিও আগ্রহ সৃষ্টি করা হবে।
এছাড়া, প্রথাগত কৃষি উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বাণিজ্যিক রূপ লাভ করায় এ খাতে উৎপাদনশীলতার বৃদ্ধির বিদ্যমান সুযোগ পরিকল্পিতভাবে পণ্য বৈচিত্রকরণের মাধ্যমে কাজে লাগানো হবে।
রবিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় উৎপাদনশীলতা পরিষদ (এনপিসি)-এর ত্রয়োদশ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশের শিল্প ও সেবাসহ বিভিন্নখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে কর্ম-কৌশল নির্ধারণের জন্য এ সভার আয়োজন করা হয়। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় শিল্প, সেবা ও কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসময় জানানো হয়, বাংলাদেশে শিল্প কারখানায় উৎপাদনশীলতার হার এখনও শতকরা ৫০ ভাগের নিচে। এশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতে উৎপাদনশীলতার হার ৬০ শতাংশের বেশি। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পণ্য টিকে থাকার জন্য শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। এ লক্ষ্যে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কারখানা ব্যবস্থাপনায় জড়িত মধ্যম পর্যায়ের ব্যবস্থাপকদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরো পড়ুন: সাত সচিবের দপ্তর বদল
সভায় জানানো হয়, কৃষি ও শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এনপিও নির্ধারিত বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এনপিও’র উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। চামড়া শিল্প এবং রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি ও সার শিল্প কারখানার উৎপাদনশীলতা উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে, খাতভিত্তিক উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। এ লক্ষ্যে খাতভিত্তিক গবেষণা সেল ও পৃথক কমিটি গঠন করতে হবে। এ কমিটি প্রয়োজন অনুযায়ী সভা আয়োজন করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্পপণ্য বৈচিত্রকরণ ও শিল্প দক্ষতা বাড়ানোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
ইত্তেফাক/জেডএইচ