শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে দ্বিগুণ

আপডেট : ২৮ জুন ২০১৯, ২০:৫৩

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গেলো অর্থবছরের তুলনায় চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি প্রায় দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। ব্যবসায়ী ও বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে।

এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে রাইস ব্রান্ড অয়েল, রাইস খৈল, পাটের সুতা, পাটের চট, গার্মেন্টস বর্জ, নারকেল শলা, প্রাণের জুস, লিচু ড্রিংক্স, প্রাণের চানাচুর ও চিপ্চসহ অন্য পণ্য।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের সিনিয়র রাজস্ব কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের গত জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ভোমরা বন্দর দিয়ে দুই লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৫ টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে ভারতে। যা গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ১১ মাসের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

সূত্রটি আরও জানায়, গত অর্থবছরের ১১ মাসে এ বন্দর দিয়ে বিভিন্ন প্রকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে এক লাখ পাঁচ হাজার ৭৬২ টন। এ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছর দুই লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৫ টন বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাজাকার মাহবুবের ফাঁসি দ্রুত কার্যকরের দাবি কুমুদিনী পরিবারের

ভোমরা বন্দর ব্যবহারকারী আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স গনি এন্ড সন্সের ব্যবস্থাপক অশোক কুমার জানান, চলতি বছর এ প্রতিষ্ঠান ১৩ থেকে ১৪ হাজার টন গার্মেন্টস বর্জ্য এবং ৩ হাজার টন নারকেলের শলা রপ্তানি করেছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। তিনি বলেন, ভারতে বাংলাদেশী গার্মেন্টস বর্জ্য চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানি বাড়ছে।
   
ভোমরা বন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স মজুমদার এজেন্সির ব্যবস্থাপক পরিতোষ কুমার ঘোষ জানান, প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর ভোমরা বন্দর দিয়ে বিভিন্ন প্রকার পণ্য আমদানির পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে রাইস ব্রান্ড অয়েল এবং চাউলের খৈল ভারতে রপ্তানি করে থাকে। তবে গেল ২/৩ বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর এ পণ্য দুটি রপ্তানি বেড়েছে বলে জানান তিনি।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান জানান, যে কোনো পণ্য রপ্তানি বা আমদানি মূলত ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী বাড়ে এবং কমে। তবে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানি বেড়েছে এ বন্দর দিয়ে। 

ইত্তেফাক/অনি