শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শুকনা বীজতলা পদ্ধতিতে ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকের স্বস্তি

আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:১৮

ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের কারণে ঠাকুরগাঁওয়ে বেশির ভাগ ইরি-বোরোর বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।  প্রতি বছর ঘন কুয়াশায় ইরি-বোরো ধানের বীজতলা বিবর্ণ হয়ে নষ্ট হয়ে যায়।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকেরা এখন পলিথিন ঢাকা দিয়ে বীজতলা তৈরি করছে।  কম সময়ে স্বাস্থ্যবান ও ভালো চারা পাওয়ায় ইতোমধ্যে এ পদ্ধতিটি চাষিদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬১ হাজার ৯ শত ৭৯ হেক্টর জমিতে।  গত মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৬০ হাজার ৮৫৯ হেক্টর জমিতে। 

ডিসেম্বর মাসের প্রথম থেকে কৃষকেরা বাড়ির পার্শ্বে খাল বিল ডোবা ও নদীর ধারে বীজতলা তৈরি করে থাকে।  কিন্তু প্রতি বছর ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে অনেক বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়।  এ সময় কৃষকেরা পরে বেকায়দায়। 

আরও পড়ুন: খুলনায় বন্ধ ঘরে শিশু মৃত্যুর মামলা তদন্তে পিবিআই

তখন বাইরে থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হয়।  এ অবস্থায় পলিথিন ঢাকা দিয়ে উঁচু জমিতে বীজতলা তৈরির পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ।

ইতোমধ্যে এ জেলায় যেসব বীজতলা তৈরি করা হয়েছে তার অর্ধেকই পলিথিন দিয়ে ঢাকা।  বীজ বপনের পর রোদ্রজ্জল দিনের বেলায় পলিথিনের ঢাকা তুলে ফেলতে হয়।  মাঝে মাঝে পানি সেচ দিতে হয়।  পলিথিন ঢাকা দিয়ে তৈরি বীজতলা শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশায় নষ্ট হয়না এবং সময়মত ক্ষেতে লাগানো যায়।  এ বীজ হতে ধানের উৎপাদনও তুলনামূলক ভাবে বেশি।  তাই এ পদ্ধতি কৃষকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

সদর উপজেলা খোঁচাবাড়ি এলাকার কৃষক জামাল উদ্দিন জানান, গত ৩ বছর ধরে পলিথিন দিয়ে বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে। কারণ শীতে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।  তাই বীজ তলা রক্ষার জন্য পলিথিন ব্যবহার করা হচ্ছে।  একই কথা জানালেন ঐ এলাকার কৃষক আল মামুন।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি কর্মকর্তা আফতাব হোসেন বলেন, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা কিছুটা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।  তাই আমাদের এ এলাকার কৃষকদের পলিথিনের ঢাকা দিয়ে বীজতলা তৈরি করার জন্য আমরা পরামর্শ দিয়ে আসছি।  আর তারা সেভাবে বীজতলা তৈরি করে লাভবান হচ্ছে।

ইত্তেফাক/এমএএম