বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে হাইড্রোজেন ওয়াটার 

আপডেট : ১৫ জুন ২০২১, ২০:২৭

স্বাস্থ্য-সচেতন মানুষের দেশ জাপান মানব কল্যাণ মূলক গবেষণায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে বরাবরই এগিয়ে। মানব শরীরে হাইড্রোজেন অণুর প্রভাব নিয়ে দীর্ঘদিনের গবেষণার একটি সফল ফসল হল হানা এ-ক্লাস কোম্পানির ন্যানো হাইড্রোজেন সমৃদ্ধ পানি।

স্বাস্থ্যের জন্য পানির গুরুত্ব বলে বোঝানোর নয়। মানুষের শরীর খাদ্য ছাড়া বাঁচতে পারে কয়েক সপ্তাহ, কিন্তু পানি ছাড়া বাঁচতে পারে না মাত্র কয়েক দিনের বেশি। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য তাই পানি বড়ই প্রয়োজনীয়। হাইড্রোজেন সমৃদ্ধ পানি পান করলে পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়। পানিতে হাইড্রোজেন মলিকিউলস থাকায় অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের ফলে যেসব রোগ হয় তার ঝুঁকি কমে। এসব রোগের মধ্যে রয়েছে, ক্যান্সার, পারকিনসন, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্রনিক ফ্যাটিক সিন্ড্রম, অ্যাজমা এবং পুরুষের উর্বরতা কমে যাওয়া ইত্যাদি। গবেষকরা ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত ইঁদুরের উপর হাইড্রোজেন পানি ব্যবহার করেও সফলতা পেয়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে করা এই পরীক্ষার ফলে বিজ্ঞানীরা অবাক হয়েছেন যে হাইড্রোজেন ও পানির মিশ্রণ সত্যিই শরীরকে সুস্থ রাখতে সক্ষম। 

এই পানির সমর্থকরা বলছেন, এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে, শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। আবার শারীরিক কসরতের পরে হাইড্রোজেন সমৃদ্ধ পানি পান করলে দুর্বলতা বোধ কমে। যেকোনো ব্যথা নিরাময়েও বেশ উপকারী এই পানি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো এই পানি বার্ধক্য আটকাতে পারে। ডা. পেরিকনের মতে, ২০১৪ সালের এক গবেষণা অনুসারে, যদি কেউ নিয়মিত দুই লিটার হাইড্রোজেন মিশ্রিত পানি টানা ১৪ দিন পান করে তবে কী ঘটবে জানেন? রক্তের পিএইচ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যা ডায়াবেটিস কিংবা অ্যাজমার সমস্যা থেকে বাঁচায়। এছাড়াও রক্তে হাইড্রোজেন আয়ন যুক্ত হয়। যা রক্তের বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচায়।  

বাজারে প্রচলিত স্পার্কলিং ওয়াটার, এলকালাইন ওয়াটার, ইলেক্ট্রো লাইট ওয়াটার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। এগুলোর সাথে নতুন নানা গুণাগুণ নিয়ে যুক্ত হয়েছে হাইড্রোজেন ওয়াটার। অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে যে রেগুলার পানি থেকে হাইড্রোজেন ওয়াটার কিভাবে আলাদা। রেগুলার পানিতেও হাইড্রোজেন এর উপস্থিতি থাকলেও হাইড্রোজেন ওয়াটারে নির্দিষ্ট মাত্রায় তরল হাইড্রোজেন যুক্ত করা হয়। যা পানির পি এইচ লেভেল বা আণবিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন না করে পানিকে মানুষের শরীরের জন্যে আরো উপযোগী করে তোলে। আর হাইড্রোজেনের আলাদা গন্ধ বা স্বাদ না থাকায় পানির গন্ধে কোন পরিবর্তন আনে না।

এই পানিতে থাকা হাইড্রোজেন আয়ন আমাদের মস্তিষ্কেও পৌঁছাতে সক্ষম, যেখানে অন্য কোন ভিটামিন বা মিনারেল জাতীয় উপাদান সহজে পৌঁছাতে পারেনা। ফলে, বাচ্চাদের মেধা বিকাশে সহায়তা করে এবং পূর্ণ বয়স্ক মানুষের স্মরণশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। নিয়মিত ব্যবহারে মানব দেহের নিষ্ক্রিয় কোষগুলো ধীরে ধীরে সক্রিয় ও কর্মক্ষম হয়। ফলে পরিপাকতন্ত্র ও শ্বসনতন্ত্র আরও ভালভাবে কাজ করে।এছাড়াও হানা হাইড্রোজেন গ্রিন টিও পাওয়া যাচ্ছে দেশের বড় ফার্মেসিগুলোতে। এই গ্রিন-টি নিয়মিত পান করলে শিশু ও বৃদ্ধদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। 

বাংলাদেশে হাইড্রোজেন ওয়াটার  'হানা এ-ক্লাস' বাজারজাত করছেন সদাগর ডট কম। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ সময় ধরে দেশের বাইরের বিভিন্ন মাধ্যমে হাইড্রোজেন ওয়াটারের এতগুলো স্বাস্থ্য-সুবিধার কথা জেনে যাচাই করে তা রপ্তানি করেছে। দেশের সুপারশপগুলোতে পাওয়া যাচ্ছ হাইড্রোজেন ওয়াটার।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি