বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের আন্দোলন

আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:৫৯

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ফি কমানো ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানসহ ১৭ দফা দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছে। বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। 

গত সেপ্টেম্বর মাসে ১২ দিনব্যাপী ভিসি অপসারণের আন্দোলন শেষে ৫ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলন শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সকাল ৯ টায় অবস্থান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মত তারা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস চলাকালীন সময়ে এ অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে স্লোগান দেয়।  

দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ, শহীদ মিনার এবং প্রধান ফটকের নির্মাণ কাজ অতি দ্রুত শুরু করা, আবাসিক হলে সিট প্রতি ভাড়া ১৫০ টাকা ও গণরুমের ভাড়া ২৫ টাকা করা, বিভাগ উন্নয়ন ফি বাদ দেওয়া, পরীক্ষায় ইমপ্রুভমেন্ট সিস্টেম চালু করা, প্রতি সেমিস্টারে বেতন বাবদ ১২'শ টাকা থেকে কমিয়ে ৬'শ টাকা করা, ক্যাম্পাসের বাইরেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে পানি পানের সু-ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন বৃদ্ধি ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: রাবির ‘সি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলম তুহিন বলেন, ‘দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, সেমিস্টারসহ সব ধরনের ফি মাত্রাতিরিক্ত। তাই বিভিন্ন ফি কমানো ও শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধাসহ ১৭ দফা দাবিতে আমরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি। এ দফা আমাদের মুক্তির দফা। তাই এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের ১৭ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি পেয়েছি। তাদের সব দাবি বর্তমান রুটিন দায়িত্বে থাকা ভিসির পক্ষে পূরণ করা সম্ভব না। নতুন ভিসি নিয়োগ হলে তাদের দাবিপূরণ করা সম্ভব। এছাড়া তাদের বেশ কিছু দাবি যৌক্তিক বলে তিনি স্বীকার করেন। 

ইত্তেফাক/এএএম