শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সুযোগ পেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত দুই ছাত্রের

আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:০০

দরিদ্র পরিবারের মেধাবী দুই ছাত্র ইমরান হোসেন ও অর্পন কর্মকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছেন না। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলেও এখন প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থনৈতিক সমস্যা। ফলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখছেন বলে জানিয়েছে এই দুই শিক্ষার্থী। 

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরের পাহাড়পুর ও সারিষাদাইর পালপাড়া গ্রামে ইমরান ও অর্পনের বাড়ি। সোমবার এই দুই মেধাবী ছাত্র মির্জাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এসে তাদের অভাবের কথা এই প্রতিনিধির কাছে তুলে ধরেন। 

ইমরানের বাবার নাম হাবিবুর রহমান। তিনি পেশায় কৃষি কাজ করেন। মা সাহিদা বেগম মারা যাওয়ার পর সৎ মায়ের সংসারে অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা চালিয়ে আসছেন ইমরান। চার ভাই এক বোন পড়াশোনা করছে। এইচএসসি পাশের পর অর্থের অভাবে কোন কোচিং সেন্টারে কোচিং করতে না পারলেও নিজের ইচ্ছায় এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ডি ইউনিটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তার ভর্তির মেধা স্কোর-১০৫। ভর্তির সুযোগ হলেও অর্থের অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ইমরানের। দরিদ্র ও অসহায় এই মেধাবী ছাত্র প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ দেশ ও বিদেশের বৃত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। তাকে সাহায্য পাঠানোর জন্য ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং আওতায় তার ব্যক্তিগত মোবাইল একাউন্ট নম্বর- ০১৭৪২-৯৩৫৫৭৩।

অপর মেধাবী ছাত্র আপন কর্মকারের বাবার নাম ঋষিকেশ কর্মকার। তিনি দর্জির কাজ করেন। মা চন্দনা কর্মকার গৃহিণী। তাদের অভাবের সংসার। এ বছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বি ইউনিটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন আপন কর্মকার। তার ভর্তির মেধা স্কোর- ৬৫। এছাড়া তিনি সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্মাত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। ভর্তির সুযোগ হলেও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছে না বলে জানিয়েছেন অর্পন কর্মকার। দরিদ্র ও অসহায় এই মেধাবী ছাত্র প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ বৃত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন। সাহায্য পাঠানোর জন্য তার ব্যক্তিগত মোবাইল একাউন্ট নম্বর- ০১৭৯৪-৫১৫৭০৬।

এ ব্যাপারে সরিষাদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মিসেস মুক্তি সাহা জানান, ইমরান ও অর্পনের পরিবার খুবই দরিদ্র। এ পর্যন্ত তিনি তাদের সাহায্য ও সহযোগিতা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগসহ উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে এই দুই মেধাবী ছাত্রকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।

ইত্তেফাক/জেডএইচ