মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দিয়ার মৃত্যুতে চিকিৎসকের শাস্তি দাবি

আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:০৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার  খ্রিস্টায়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় স্কুল শিক্ষিকা নওশীন দিয়ার মৃত্যুতে দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
 
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন করা হয়।

নওশীন দিয়া ব্রাহ্মনবাড়িয়ার ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্ডেনে শিক্ষকতা করতেন। মাত্র ৬দিন বয়সের বাচ্চার মা ছিলেন তিনি। অসুস্থতার জন্য খ্রিস্টায়ান মেমোরিয়াল হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা ভুল চিকিৎসা দেয়। ফলে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ উঠে।

মানববন্ধনে নওশীন দিয়ার ফুফা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আর কোন মায়েদের যেন মৃত্যু না হয়। বাচ্চার বয়স ১ মাসও হয়নি এখন। এই বাচ্চার কষ্টের ভাগ কে নেবে? খুনিদের অতি দ্রুত বিচার চাই।’

নওশীন দিয়ার ছোটবোন ময়ুর তালুকদার বলেন, ‘আমার বোনের মেয়েটা জন্মের পর থেকেই মায়ের কোল হারিয়েছে। এমন পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।’

রোকেয়া হল ছাত্র সংসদের ভিপি ইসরাত জাহান তন্বী শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘এরকম চিকিৎসকদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। যদি তাদের শাস্তি হয় তবেই ভুল চিকিৎসা কমবে। এই তিনজন চিকিৎসকের শাস্তির মাধ্যমে অন্য ডাক্তাররা সাবধান হবে।’

সমাজবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জসীমউদ্দিন বলেন, তিনজনের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে আমাদের বোনের। তাদের ফাঁসি চাই।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষিকা নওশীন দিয়ার ফুফা, তার ছোট বোন সমাজবিজ্ঞানের ছাত্রী ময়ুর তালুকদার, রোকেয়া হল ছাত্র সংসদের ভিপি ইসরাত জাহান তন্বীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে তারা কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হল- এরকম ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের জন্য তিন ডাক্তারের ফাঁসি চাই, হাসপাতালটিতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে ভুল চিকিৎসায়। সেজন্য দ্রুত বন্ধ করতে হবে।

উল্লেখ্য, ৪ নভেম্বর পৌর এলাকার খ্রিস্টিয়ান মোমোরিয়াল হাসপাতালে ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা নওশীন আহমদ দিয়ার (২৯) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১৩ নভেম্বর মৃত দিয়ার বাবা শিহাব আহমেদ গেন্দু মিয়া বাদী হয়ে হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. ডিউক চৌধুরী এবং দুই চিকিৎসক অরুনেশ্বর পাল ও মো. শাহাদাৎ হোসেন রাসেলকে আসামি করে মামলা করেন।

ইত্তেফাক/এমআরএম