বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি বিভাগের এক প্রভাষকের ছোটবোন দুই ইউনিটে ফেল করলেও ‘বি’ ইউনিটে রেকর্ড পরিমাণ মার্কস নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে। বিষয়টি নিয়ে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ‘দুই ইউনিটে ফেল করা ভর্তিচ্ছু অন্য ইউনিটে রেকর্ড মার্কস নিয়ে প্রথম!’ শিরোনামে ইত্তেফাক অনলাইনে খবর প্রকাশ হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক। বৃহস্পতিবার রেজিস্টার কর্নেল আবু হেনা মুস্তাফা কামালের কাছে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত দাবি পেশ করেছেন শিক্ষকরা।
এদিকে, ২ এবং ৩ তারিখ ভর্তিচ্ছুদের যাচাই বাছাই মৌখিক, ওএমআর এ পরীক্ষার্থীদের হ্যান্ডরাইটিং না মিলিয়েই ‘বি’ ইউনিটের ক্ষেত্রে সরাসরি ব্যাংকে ভর্তির টাকা জমাদানের মাধ্যমে ভর্তির করানোর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ও খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন শিক্ষকরা।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, ‘এই ঘটনার চূড়ান্ত তদন্ত হওয়া উচিত। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা ইউজিসি থেকে তদন্ত কমিটি করে ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
নীল দলের সাধারণ সম্পাদক আসাদ মণ্ডল বলেন, ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় সমস্যা হওয়ার মূল কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের স্বৈরাচারীভাবে এই ইউনিটের ডিনশিপ নিয়ে থাকা।
আরও পড়ুন: কাশিয়ানীতে দ্বিতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার, ধর্ষক পলাতক
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. গাজী মাযহারুল আনোয়ার বলেন, ‘বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ দেশের বাইরে থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ইত্তেফাক/এসি