খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ষষ্ঠ সমাবর্তন আগামী ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনে সমাবর্তন ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সম্পর্কে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, ‘খুলনার সর্বস্তরের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো দিকগুলো যেমন মানুষের অহংকার ঠিক তেমনি নেতিবাচক বিষয়ে তাদেরকে উদ্বিগ্ন করে তোলে। বর্তমান সময় খুবির রয়েছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা অর্জন।কিন্তু এরপরই বিভিন্ন নেতিবাচক বিষয় উপস্থাপিত হতে থাকে, যার অনেক কিছুই বাস্তবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আমরা সবাই সমাবর্তনকে সফল করার জন্য নিরলস কাজ করছি।
গত ৩ ডিসেম্বর খুবির ৪২ জন শিক্ষক রেজিস্ট্রার বরাবর প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা এবং বাস্তবায়িত প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। এ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ‘বর্তমানে চলমান যে প্রকল্পটি রয়েছে তা ২০১৬ সালের মে মাসে অনুমোদিত হয়।প্রকল্পের আওতাভুক্ত স্থাপনাগুলোকে আমরা দুই ভাগে বিভক্ত করি। (১) উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ ও (২) সম্পূর্ণ নতুন স্থাপনা নির্মাণ। টেন্ডারের মাধ্যমে পরামর্শক নিযুক্ত করে ডিজাইন হাতে পেতে প্রায় এক বছর চলে যায়। এছাড়া স্থাপত্য নকশার ক্ষেত্রে স্থপতিদের মূল্যায়নের ফলাফল পাওয়া একটি সময়সাপেক্ষ বিষয়।তাই এখানে অনেক সময় ব্যয় হয়। দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের ইচ্ছাকৃত নয়। এটি পদ্ধতিগত বিষয়।
আরও পড়ুন:চরভদ্রাসনে বৃদ্ধের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ
এদিকে ভবন নির্মাণের দুর্নীতি প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ‘কবি জীবনানন্দ একাডেমিক ভবনে নির্মাণ ত্রুটি ধরা পড়লে আমরা তার যথাশিগগিরি সম্ভব ব্যবস্থা নিই এবং ভবনটিকে ঝুঁকিমুক্ত করি। এছাড়া বঙ্গমাতা হলের নির্মাণ কাজ এখনও চলমান। কোন নির্মাণ ত্রুটি বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ কাজের সাথে যে সকল প্রকৌশলী যুক্ত ছিলেন তারা দায়িত্বে অবহেলার জন্য আইনের আওতায় আসবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার, রেজিস্টার, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।
ইত্তেফাক/এএএম