বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঢাবিতে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে দুর্নীতি, ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন

আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:২৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান নাসরীন ওয়াদুদ ও স্টোর অফিসার মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল প্রায় ২ বছর আগে। ওই বিভাগের শিক্ষকরা বেশকিছু যন্ত্রপাতি কেনার বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রায় দেড় বছর আগে প্রতিবেদন জমা দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

ঢাবি উপাচার্য জানান, প্রতিবেদন দেওয়ার পর এ বিষয়ে কিছু জানি না। কখন কি হয়েছিল এতকিছু মনে নেই। তবে তার (নাসরিন ওয়াদুদ) একটা শাস্তি হয়েছিল। আর কত শাস্তি দেওয়া যায়! 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ভবন সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগের যন্ত্রপাতি কেনায় ২ লাখ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। কমিটির দেওয়া তদন্ত  প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৩৫ হাজার টাকা দামের প্রজেক্টর কেনা হয় ৯০ হাজার টাকা এবং ৩৭ হাজার টাকা দামের এসি কেনা হয় ৭৪ হাজার টাকা দিয়ে। অন্যদিকে আড়াই হাজার টাকা দামের ৪টি প্রিন্টারের মূল্য দেখানো হয় ১০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা। ৮১ হাজার টাকার পণ্য দেখানো হয় ২ লাখ ৪ হাজার টাকা। দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় চাকরিচ্যুত করার সুপারিশও করা হয় বিভাগের স্টোর অফিসার মো. মতিয়ার রহমানকে। 

আরও পড়ুন: কৃষক হত্যায় একজনের যাবজ্জীবন, ৬ জন খালাস

ইত্তেফাকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে তিনটি কোটেশান (কোম্পানিভিত্তিক দামের তুলনা) দেওয়ার কথা থাকলেও নিয়ম ভেঙ্গে তিনটি কোটেশান একই কোম্পানি থেকে দেওয়া হয়। এসি, প্রজেক্টর ও প্রিন্টার কেনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া হলেও এসব যন্ত্রপাতির প্রাক্কলিত ব্যয়ও যাচাই করা হয়নি।

দুর্নীতির বিষয়ে ড. নাসরিন ওয়াদুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটেশন অনুযায়ী কেনাকাটা করা হয়েছে। এখানে আমার কোনো হাত নেই। এটাতো চেয়ারম্যান কেনে না। এর দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের। 

তবে বিভাগের স্টোর অফিসার মতিয়ার রহমান যন্ত্রপাতি কেনার দুর্নীতির জন্য তৎকালীন চেয়ারম্যানকে দায়ি করে ইত্তেফাককে বলেন, আমার কাজ সই-স্বাক্ষর করিয়ে দেওয়া। কিন্তু কোটেশন দিয়েছিলেন কমিটির সদস্যরা। তারা যেভাবে বলেছিলেন সেভাবে আমি কাজ করেছি। এখানে দুর্নীতি হয়ে থাকলে ক্রয় কমিটির হস্তক্ষেপে হয়েছে। 

বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাহফুজা খানম বলেন, এ বিষয়ে আমাকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। আমরা এ বিষয়ের তদন্ত প্রতিবেদনও জমা দিয়েছিলাম। পরে প্রশাসন কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা জানা নেই। 

ইত্তেফাক/এসি