শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জবি আইইআর এর নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:১৬

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এর নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে সকাল ১১ টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত নানা আয়োজনে নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মনিরা জাহান এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আই ই আর এর অধ্যাপক ড. নাজমুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস। অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অথিতিবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান শিক্ষাক্ষেত্রে অযোগ্য লোকের ছড়াছড়ি, যারা শিক্ষকতা করছেন তারা এ পেশাকে ‘ফার্স্ট চয়েজ’ হিসেবে না নিয়ে অন্য কোথাও সুযোগ না পেয়ে শিক্ষকতাকে উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে নিচ্ছেন। এদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। আজকে যারা আইইআর এ নতুন, বর্তমান আর সদ্য বিদায়ী তাদেরই এই কাজে এগিয়ে আসতে হবে। ’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান দৈন্যদশা কাটাতে, শিক্ষাঙ্গনে নতুনত্ব আনতে আইইআর এর শিক্ষার্থীরা অবদান রাখতে পারে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে, বর্তমান বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিরসনে এ ইনস্টিউটের বর্তমান ও সদ্য সাবেক শিক্ষার্থীরা নিজেদের সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। ’

আরো পড়ুন: কক্সবাজারের সাগর তীরে উঁচু স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

সভাপতির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মনিরা জাহান বলেন, ‘আই ই আর এর শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা কর্মচারীদের আন্তরিকতার কারণেই আই ই আর এই চার বছরে অনেকদূর এগিয়েছে।’ বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে জানাতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, ‘এ যেন যেতে নাহি দিতে চাই তবু যেতে দিতে হয়। ’

উল্লেখ্য, নবীন বরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটক ও কৌতুকসহ বিভিন্ন মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ইন্সটিটিউটের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

ইত্তেফাক/এএএম