শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাবির ইতিহাস বিভাগের ইতিহাসেই গলদ!

আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২১:৩০

একুশের ব্যানারে বীরশ্রেষ্ঠদের ব্যবহার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সংগীত বিভাগের পর এবার তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ। এই সমালোচনার মধ্যেই সোমবার ইতিহাস বিভাগের ব্যানারের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার শুরু হয়।

ইতিহাস বিভাগের ব্যানারের ওপরে লেখা, ‘অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি’ এর নিচে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি’। ব্যানারের ডান দিকে শহীদ মিনারের প্রতিকৃতির ওপর লেখা, ‘মোদের গরব, মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা’। তবে ব্যানারের বাম দিকে রয়েছে সাত বীরশ্রেষ্ঠ’র ছবি। এমতাবস্থায় ভাষা শহীদ এবং বীরশ্রেষ্ঠ চিনতে ইতিহাস বিভাগও ভুল করতে পারে! এমনটা ভেবেই অবাক সকলে।

বাংলা ভাষার গবেষক ও শিক্ষাবিদরা বলছেন, এদিকে একুশে ফেব্রুয়ারির ব্যানারে মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি ব্যবহারের পেছনে মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা নিয়ে গবেষণা ও পড়ালেখা না করাই মূল কারণ বলে মনে হয়। 
বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২১শে ফেব্রুয়ারি সকালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভবনের সামনে থেকে ইতিহাস বিভাগের প্রভাতফেরি বের হয়। প্রভাতফেরিতে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মর্ত্তুজা খালেদ, অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন মিশ্র, সহকারী অধ্যাপক গোলাম সারওয়ার, হেলাল উদ্দিন প্রমুখসহ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মর্ত্তুজা খালেদ অবশ্য দাবি দাবি করেন, ব্যানারের জন্য ছাত্রদের দায়িত্ব দিয়েছিলাম, ওরা করে নিয়ে এসেছে। বিষয়টি চোখে পড়ে নি। অবশ্যই এমন ভুল হওয়া উচিত নয়।

আরও পড়ুন: শেষ হলো রিফাত হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ, উপস্থিত ছিলেন মিন্নি

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষাবিদই মনে করেন, ইতিহাস বিভাগ যারা মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন নিয়ে গবেষণা করে, তাদের এ ধরনের ভুল দুর্ভাগ্যজনক। আমি এমনও শুনেছি, এক যুগলকে প্রশ্ন করা হয়েছিল একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে কেন এসেছেন, একজন উত্তর দিলেন আজ তো স্বাধীনতা দিবস।

বাংলা একাডেমি পুরষ্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার গবেষক ও আভিধানিক অধ্যাপক স্বরোচিষ সরকার বলেন, ‘এ ধরনের ভুল অজ্ঞতা, অমনোযোগিতা এবং অনভিজ্ঞতাসহ যেকোনও কারণে ঘটতে পারে। অনভিজ্ঞতা ও অজ্ঞতার কারণে ঘটা ভুল ক্ষমারযোগ্য। তবে যারা আমাদের ইতিহাস নিয়ে কাজ করেন, তাদের ভুল ক্ষমার যোগ্য নয়।’

ইত্তেফাক/এসি