শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাবির শেখ হাসিনা ও কামারুজ্জামান হল ভিত্তি প্রস্তরেই সীমাবদ্ধ

আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২১:৩৭

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রস্তাবিত দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল এবং জাতীর চার নেতার অন্যতম শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান হল নির্মাণের কোনো অগ্রগতি নেই। বহুল প্রত্যাশিত এ দুইটি আবাসিক হলের নির্মাণ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে এক বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও অগ্রগতি চোখে পড়ছে না। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১০ তলা বিশিষ্ট দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল বর্তমান বেগম খালেদা জিয়া হলের পূর্ব পার্শ্বে অর্থাৎ তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের পশ্চিমপার্শ্বের মাঝের ফাঁকা জায়গায়। আর শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামের দক্ষিণ পার্শ্বে, অর্থাৎ মতিহার হলের উত্তর পার্শ্বের মাঝের ফাঁকা জায়গায়। প্রতিটি হল নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিলো ৭০ কোটি টাকা করে ১৪০ কোটি টাকা।

সূত্র মতে, ২০১৮ সালে রাবির দশম সমাবর্তনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট রাবির আবাসিক হল দু’টির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু মাটি পরীক্ষায় সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে বহুল প্রত্যাশিত আবাসিক হল দু’টির নির্মাণ কাজ। অথচ ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে চলতি বছরের জুনের মধ্যে শেষ করে উভয় হল উদ্বোধনের কথা ছিল।

হল নির্মাণকাজ বন্ধ থাকার কারণ সম্পর্কে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর সূত্র বলছে, পাবলিক ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্টের (পিডব্লিউডি) রেড সিডিউল অনুযায়ী ২০১৪ সালে ৩৬৩ কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেটটি করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে পিডব্লিউডি’র রেড সিডিউল অনুযায়ী সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১০ কোটি টাকা। এজন্য সংশোধিত বাজেট প্রণয়নে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাবির ইতিহাস বিভাগের ইতিহাসেই গলদ!

তবে এখনও এ সংক্রান্ত ফাইল সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠায়নি রাবির উন্নয়ন ও পরিকল্পনা দপ্তর। পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক খন্দকার শাহরিয়ার রহমান বলেন, হলের নঁকশা, স্থান নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে বাজেটের ফাইলটি একনেকে পাঠানো হবে। একনেকে সংশোধিত বাজেট পাশ হলেই কাজ শুরু করতে পারবেন বলে জানান তিনি। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, একই বাজেটের অন্তর্ভূক্ত হলেও রাবিতে শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। শিগগিরই স্কুলটির নির্মাণ কাজ শেষ হতে পারে বলে জানা গেছে। 

ইত্তেফাক/এসি