শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাবিতে অনশনে অসুস্থ ৪২, মুখের কথায় আস্থা নেই শিক্ষার্থীদের

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:০৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচির ৪৮ ঘণ্টায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৪২ শিক্ষার্থী। অসুস্থদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুস্থ হয়ে অনেকেই আবারও অনশনে যোগ দিচ্ছেন। এদিকে উপাচার্য দাবির বিষয়ে আন্দোলন স্থগিত ও আলোচনার করা হবে বলে জানালেও মুখের কথায় আন্দোলন স্থগিত করা হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার তৃতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ফলিত পরিসংখ্যান করার দাবিতে স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসে পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে উপাচার্য বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন। এদিন দুপুর দেড়টায় উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান অনশনস্থলে যান এবং আগামী সোমবার জরুরি সভা ডেকে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে আলোচনার আশ্বাস দিয়ে অনশন স্থগিতের নির্দেশ দেন।

এদিকে শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্য ও বিভাগীয় সভাপতির যৌথ লিখিত ছাড়া তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। শুধুমাত্র মৌখিক প্রতিশ্রুতিতে কর্মসূচি স্থগিত করা হবে না।

আরও পড়ুন: ১৮ বছর পর নির্মাণ হতে চলেছে কানাইদিয়া-কপিলমুনি ব্রিজ 

এ সম্পর্কে ছাত্র উপদেষ্টা ড. লায়লা আরজুমান বানু বলেন, শিক্ষার্থীরা উপাচার্য স্যারের কাছে লিখিত চেয়েছেন। এটা অশালীনতা। তাদের অবশ্যই উচিত ছিল স্যারের ওপর আস্থা রাখা।

প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন, সিনেট ভবনে আগামী ২ মার্চ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসন এই সম্পর্কে আলোচনা সভা করবে। আপাতত শিক্ষার্থীদের উচিত ভিসি স্যারের ওপর আস্থা রাখা এবং আন্দোলন স্থগিত করা। এটা কোনো স্বল্প সময়ের বিষয় নয়।

উল্লেখ্য, পিএসসিতে বিষয় কোড অন্তর্ভুক্তের দাবিতে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন, অবস্থানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছিল ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে বর্তমানে বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ফলিত পরিসংখ্যান করার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছে তারা।

ইত্তেফাক/এসি