শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জবিতে ভর্তি ও পরীক্ষার ফি মওকুফের দাবি

আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২০, ২০:৫৪

করোনার প্রাদুর্ভাবে অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এর বিভিন্ন সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষার ফি ও নতুন সেমিস্টারে ভর্তি ফি মওকুফের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। 

বুধবার সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহমান প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি কেএম মুত্তাকী ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান জাহিন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আছে বাংলাদেশ। সরকারি আদেশে সাধারণ ছুটি ও স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দেশের শ্রমজীবী, কৃষক, দিনমুজুরসহ নিম্নআয়ের মানুষ। মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও আছে ভয়ানক অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে। এমতাবস্থায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও যে হারে পরীক্ষার ফি ও সেমিস্টারে ভর্তি ফি নেয়া হয় তা বর্তমান পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সামর্থ্যের বাইরে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন আয় সীমার পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় আবাসন ব্যবস্থা (হল, ডাইনিং) না থাকায় অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যয় অনেক বেশী। তাই কোভিড-১৯ বিপর্যয়ের পর শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন স্বাভাবিক রাখার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে। কৃষক-শ্রমিক ও কর্মজীবী মানুষের মেহনত ও করের টাকায় চলা বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কৃষক-শ্রমিকদের সন্তানরা যদি অর্থাভাবে পড়াশোনা না করতে পারে তবে এর সমুচিত জবাব এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা দেবে।

আরো পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনি কে এই আবদুল মাজেদ?

তারা আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ১২৫০-১৫০০ টাকা ও নতুন সেমিস্টারে ভর্তিতে ১৬০০-১৮০০ টাকা নেয়া হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন কোভিড-১৯ বিপর্যয় পরবর্তী সময়ে দ্রুত অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারে সেজন্য সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ও নতুন সেমিস্টারে ভর্তির ফি মওকুফ করতে হবে।

ইত্তেফাক/এএএম