শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জিয়ার শাহাদাৎবার্ষিকী ঘিরেও বিভক্ত জবি ছাত্রদল

আপডেট : ৩১ মে ২০২০, ১৮:৩৪

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তিনভাগে বিভক্ত হয়ে কর্মসূচি পালন করেছে। 

শনিবার শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আসিফুর রহমান বিপ্লব তাদের অনুসারীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে। পরদিন আজ রবিবার সকালে শাখা ছাত্রদলের অন্য একটি গ্রুপ ক্যাম্পাসে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি পালন করে। এছাড়া শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান আসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আরেকটি গ্রুপ এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করেছে। 

ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়, জবি শাখা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দলের অন্যান্য নেতাদের না জানিয়েই চুপিচুপি কর্মসূচি পালন করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে ত্রিমুখী বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। 

একটি গ্রুপের শাখা ছাত্রদল নেতা সুমন আহমেদ বলেন, শনিবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমাদের না জানিয়ে প্রোগ্রাম করেছে। এজন্য আজকে আমরা অন্য সবার প্রতিনিধি হিসেবে ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছি।

আরেকটা গ্রুপের শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এখন বিশেষ একটা গ্রুপের এজেন্ডা বাস্তবায়নের ছাত্রদল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দুজনেই সবার ক্ষেত্রে অভিভাবক সুলভ আচরন করা উচিত। কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি পালনের ব্যর্থ চেষ্টা করে বারবার। আমাদের কর্মসূচির ব্যপারে কিছু না জানিয়ে বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। এই কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আর ছাত্রদল করতে পারবে না বলে তারা অনেকবার বিদায়ী প্রোগ্রাম করেছেন। সর্বশেষ মতবিনিময় সভায় বিদায়ী বক্তব্যও দিয়েছেন। কিন্তু তারা পদ ছাড়ছেন না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কেন্দ্র ঘোষিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ছিলো গতকাল। আমরা সেটা পালন করেছি। আজকে কে বা কারা বৃক্ষরোপণ করেছে এটা তাদের ব্যাপার৷ আর আমাদের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানাতে পারে।

সার্বিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক  ইকবাল হোসেন শ্যামলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে পাওয়া যায়নি।

ইত্তেফাক/কেকে