হাঁটি হাঁটি পা পা করে শত বর্ষে পা দেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এইতো আর মাত্র কিছুদিন। আগামি ১লা জুলাই শত বছরের কোঠায় পা ঠেকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের। কিন্তু এমন দিনক্ষণটি স্মরণীয় করতে কোন আয়োজনের পরিকল্পনা নেই, থাকবে না কোন আঁতশবাজি কিংবা তরুণ-তরুণীর হৈ-হুল্লোড়। করোনা ভাইরাস জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংক্ষিপ্তভাবে দিবসটি উদযাপন পরিকল্পনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাবির দিবস পালনের জন্য সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি প্রণয়ন করতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সোমবার উপাচার্যের অফিস সংলগ্ন কক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে; বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের দিন সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্য ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়ানো, সকাল ১১টায় অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনলাইন ভার্চুয়াল মিটিং প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সংযুক্ত হয়ে মূল বক্তব্য প্রদান করবেন বলে আশা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া, এই অনলাইন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন দু’জন উপাচার্য, একজন ডিন, একজন প্রভোস্ট এবং একজন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা সংযুক্ত হবেন।
সভায় রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান, ঢাবির শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, আইসিটি সেল-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসিফ হোসেন খান, সহকারী প্রক্টর মো. আবদুর রহিম এবং জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মাহমুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
ইত্তেফাক/আরকেজি