শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাবির প্রথম ইমেরিটাস অধ্যাপক এ বি এম হোসেন আর নেই 

আপডেট : ১১ জুলাই ২০২০, ১৬:৩৫

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ইতিহাসবিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ বি এম হোসেন (৮৬) আর নেই।

শুক্রবার দিবাগত রাত ২টায় রাজধানীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

এদিকে অধ্যাপক এবিএম হোসেনের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্যদ্বয় যথাক্রমে অধ্যাপক আনন্দ কুমারা সাহা ও অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া গভীর শোক প্রকাশ, তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছেন।

এ বি এম হোসেনের পুরো নাম আবুল বাশার মোশারফ হোসেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরেটাস ও ইসলামী শিল্পকলা বিষয়ের বিশেষজ্ঞ। তার জন্ম ১৯৩৪ সালে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলায় ধামতী গ্রামে।

দেবীদ্বার হাই স্কুল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক সম্মান ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের সাফল্যে তৎকালীন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চশিক্ষার নিমিত্তে তাকে মেধাবৃত্তি দিয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করে।

সেখানে তিনি ১৯৫৮ ও ১৯৬০ সালে ইতিহাস ও ইসলামিক আর্কিওলজিতে যথাক্রমে বিএ অনার্স ও পিএইচডি লাভ করে মেধার স্বাক্ষর রাখেন। ১৯৬০ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা আরম্ভ করেন এবং ১৯৭২ সালে পূর্ণ প্রফেসর পদে উত্তীর্ণ হন।

পরবর্তীতে তিনি বিভাগীয় প্রধান, চেয়ারম্যান, কলা অনুষদের ডিন ও প্রশাসনিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছিলেন। তিনি ২০০১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রফেসর এমিরিটাস হিসাবে সম্মাননা প্রাপ্ত হন। তার নিবিড় গবেষণার বিষয়বস্তু ইসলামী শিল্পকলা হলেও তিনি তার মূলধারার বিষয় মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস থেকে সরে দাঁড়াননি।

তার লিখিত গবেষণা গ্রন্থের সংখ্যা ১১। ১৯৭৭ সালে নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্ট তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য গঠিত বোর্ডে তাদের মনোনীত সদস্য নির্বাচিত করে। তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি ও বাংলা একাডেমির আজীবন ফেলো।

ইত্তেফাক/জেডএইচ