শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঢাবি মার্কেটিং বিভাগের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৫০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২৫তম ব্যাচের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানে মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ২২০জন নবীন শিক্ষার্থীকে বরণ করে নেওয়া হয়। 

মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর  আতিউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ঢাবি মার্কেটিং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের  সভাপতি মীজানুর রহমান প্রমুখ। 

সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ এশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে একটি বৃহত্তর দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। তিনি বর্তমান সরকারের  কাছে তিনটা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো, উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখা, উৎকর্ষতা  ও উন্নয়ন কর্ম বাস্তবায়ন করা। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেন, বইয়ের জ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারিক জ্ঞান প্রয়োজন। দেশের ইতিহাসে যারা মার্কেটিংয়ের  ক্ষেত্রে বেশি সফল হয়েছে তাদের কারও মার্কেটিং বিষয়ে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। তা সত্ত্বেও তারাই বড় মার্কেটার ও  সফল উদ্যোক্তা । তিনি যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে  ব্যবসার  কলা-কৌশলে পরিবর্তন আনার জন্য বলেন। নবীন শিক্ষার্থীদেরকে তিনি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা  মোকাবেলার জন্য  প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সেরা অনুষদ। এই অনুষদের ই-লাইব্রেরি থেকে শুরু করে অ্যাকাডেমিক সকল সুযোগ-সুবিধা বিরাজমান আছে। বাংলাদেশ  অর্থনৈতিকভাবে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তার চাহিদা পূরণের জন্য মার্কেটিং বিভাগ সবথেকে যোগ্য  গ্রাজুয়েট তৈরি করছে। 

আরো পড়ুন: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের দায়িত্ব পেলেন কৃষকের মেয়ে

সভাপতির বক্তব্যে  মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, তোমরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, তোমরাই গোটা জাতির নেতৃত্ব দিবে। এই কারণে তোমাদের কাছে পরিবারসহ গোটা জাতির প্রত্যাশা অনেক বেশি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখার দায়িত্ব তোমাদের নিজেদেরকেই নিতে হবে। শিক্ষকরা শুধু পথ ধরিয়ে দিবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নষ্ট হওয়ার যেমন সুযোগ আছে তেমনিভাবে বিকশিত হওয়ারও বিশাল সম্ভাবনা আছে। এই সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে তোমরা আগামী দিনে গোটা জাতির নেতৃত্ব দিবে।

ইত্তেফাক/জেডএইচ