শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

অযত্নে নষ্ট হচ্ছে সাড়ে ৪ কোটি টাকার আসবাবপত্র

আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৭:৩২

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক . খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের সময়ে অপ্রয়োজনে কেনা হয়েছিল অনেক আসবাবপত্র। সেগুলো এখন খোলা আকাশের নিচে অকেজো হয়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে।

 

সাবেক উপাচার্যের সময়ে কেনা এসব আসবাবপত্রের মধ্যে প্রায় ৮০০টি স্টিলের চৌকি দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সময়ে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড খুলনা শিপইয়ার্ড থেকে ১১টি ওয়ার্ক অর্ডারের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে কোটি টাকা মূল্যের হাজার ৬৭০টি স্টিলের চৌকি ক্রয় করা হয়েছিল। এতে প্রতিটি চৌকির মূল্য পড়ে প্রায় ১৬ হাজার ৭৮৯ টাকা। কিন্তু বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব স্টিলের চৌকি সর্বোচ্চ থেকে হাজার টাকায় পাওয়া যায়। এদিকে সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত হলগুলোর জন্য প্রয়োজন ছিল এক হাজার থেকে দেড় হাজার স্টিলের চৌকি।

 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্র ক্রয় করায় এবং সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকায় স্টিল নির্মিত এসব আসবাবপত্র নষ্ট হচ্ছে। তত্কালীন প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক . এম. . সাত্তার বলেন, ‘সাবেক উপাচার্যের নির্দেশেই এসব ওয়ার্ক অর্ডার প্রদান করেছিলাম। পরবর্তীতে আমাকে ওয়ার্ক অর্ডারের জন্য অগ্রিম অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলে আমি রাজি হইনি এবং প্রকল্প পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করি।

 

আসবাবপত্র সংরক্ষণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোরের দায়িত্বে থাকা মো. সাইফুল্লাহ বলেন, ‘স্টোরের জায়গা বৃদ্ধির জন্য প্রশাসনকে গত দুই বছরে পাঁচবার চিঠি দিয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তবে এখনো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। স্টোরের জায়গা বাড়ানো হলে অবশিষ্ট আসবাবপত্র সঠিকভাবে সংরক্ষণ সম্ভব হবে।

 

বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক . . কিউ. এম. মাহবুব বলেন, ‘এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোপার্টি, দেশের প্রোপার্টি। এগুলো এভাবে নষ্ট হতে দেখে আমার খুব খারাপ লেগেছে। বিষয়ে আমি একা কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। রিজেন্ট বোর্ডে আলোচনার মাধ্যমে এসব আসবাবপত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

ইত্তেফাক/এসি