শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা, সহপাঠীদের মানববন্ধন

আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৩২

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দর্শন বিভাগের নাজমুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় মানববন্ধন করেছে সহপাঠীরা। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা একে ‘মিথ্যা মামলা ও বিনা অপরাধে কারাভোগ’ আখ্যা দিয়ে দ্রুত মুক্তি দাবি করেন।

জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বড় বোন সীমা আক্তারের সাথে দোহার উপজেলার শ্রীকৃষ্ণপুরের জসীম উদ্দীনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী জসীম যৌতুকের জন্য সীমাকে নিয়মিত নির্যাতন করলে সেখান থেকে বাবার বাড়ি চলে আসে এবং মেয়ে বাদি হয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে পারিবারিক আদালত আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দুটি মামলা দেয়। এর এক পর্যায়ে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে দুইপক্ষের মধ্যে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয় এবং খোরাকি ও দেনমোহর বাবদ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা স্ত্রীকে দেওয়ার রায় দেওয়া হয়। তখন স্বামী শালিসের সময় রায় মেনে নিলেও পরে সে রায় না মেনে তার স্ত্রী সীমা আক্তারকে ১নং আসামী, তার বাবা সিরাজুল ইসলামকে ২নং আসামী ও তার ছোট ভাই জবি শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলামকে ৩নং আসামী করে উল্টো চুরি মামলা দেয়।

এ মামলায় গত ২৫ আগষ্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল ও তার বাবা সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং ১২দিন কারাভোগ করে। পরবর্তীতে ৬ সেপ্টেম্বর হাজিরা দেওয়ার শর্তে জামিন নেয় তারা।

এ ব্যাপারে জবি শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী। এ ঘটনার সাথে আমি বা আমার পরিবারের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। আমাদের অসচ্ছল পরিবার ও আমার ভবিষ্যৎ চাকরি জীবনে সমস্যা করতেই এ মামলা দেওয়া হয়। আমরা এ মামলা থেকে দ্রুত অব্যাহতি চাই।

মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআইডির উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক জানায়, মামলার তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে। এখন কোন তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি। 

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি কিশোরকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিল ইসরাইল

এ ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল জানান, শিক্ষার্থীর সাথে আমার কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।

ইত্তেফাক/আরআই