শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সেই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে

আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২০, ২২:৪৭

ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাময়িক বহিষ্কৃত আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর লালবাগ ও কোতওয়ালী থানায় মামলা দায়ের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।

মামলার পর দীর্ঘ ১৮ দিনেও অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ায় তাদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অনশনে বসেন সেই ছাত্রী। টানা ২৭ ঘণ্টা অনশনের পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সেই ছাত্রী। গত শুক্রবার রাত ১১টা দিকে তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এসময় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ডা. শেখ মো. আল আমিনের নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক টিম এসে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। পরে কিছুটা সুস্থও বোধ করেন তিনি।

রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান করা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, টানা ২৭ ঘণ্টা না খেয়ে থাকার ফলে রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসক টিম এসে তাকে স্যালাইন দিয়েছেন। তাকে হাসপাতালে যাওয়ার জন্যে বারবার অনুরোধ করলেও তিনি তাদের কথা শোনেননি।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা, হাতে স্যালাইন লাগিয়ে শুয়ে আছেন ওই ছাত্রী। এসময় তার পাশে সংহতি জানিয়ে অবস্থানরত সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক জেসমিন আক্তার রিপা বলেন, একটানা না খাওয়ার কারণে রাতে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তার অবস্থার খারাপের দিকে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত তিনি এগারো বার বমি করেছেন। আমরা আপাতত স্যালাইন চালিয়ে নিচ্ছি।

আরও পড়ুন: নুরদের গ্রেফতারের দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শাহবাগ অবরোধ

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, আমাদের প্রক্টরিয়াল টিম ওই ছাত্রীর সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করছেন। রাতে আমাদের সহকারী প্রক্টর তাকে দেখে এসেছেন। ওই শিক্ষার্থীর পাশে আমরা আছি। তার জন্য বিশ্ববিদ্যালযের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার, তা করা হচ্ছে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ এনে লালবাগ থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রী। এতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়। পরদিন একই বাদী কোতোয়ালি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। তবে ১৭ দিন পার হলেও এসব মামলা কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার রাতে অনশনে বসেন তিনি। তার সঙ্গে সংহতি ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের ২২ নেত্রীও সেখানে অবস্থান নেন। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে রাতেই ওই ছাত্রীর জন্যে রাজু ভাস্কর্যে প্যান্ডেল তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ছাত্রলীগের বিভিন্ন শাখার নেত্রীরা পালাক্রমে তার সঙ্গে অবস্থান করছেন।

ইত্তেফাক/এএএম