শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে পাবলিক রিলেশন্স গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে’

আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২০, ২২:৪১

প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে পাবলিক রিলেশন্স গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাই এখন বড় প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভর না করে আলাদা করে পাবলিক রিলেশন্স নামে বিভাগ রাখছে। এক্ষেত্রে নতুন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যোগাযোগ বিদ্যার শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ​আজ শনিবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র (ডিআইইউ) জার্নালিজম এন্ড ম্যাস কমিউনিকেশন (জেএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘ক্যারিয়ার ইন পিআর: স্কোপস এন্ড স্কিলস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তরা বলেন, যোগাযোগের এই বিশ্বে দক্ষ পাবলিক রিলেশন্স বা জনসংযোগ সরকারি-বেসরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছে।

এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ই-ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস নগদ এর হেড অব মিডিয়া সুজন মাহমুদ। শুরুতে ডিআইইউ’র ট্রেজারার মমিনুল হক মজুমদার স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

আলোচনায় অংশ নেন জার্নালিজম এন্ড ম্যাস কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান ড. শেখ শফিউল ইসলাম, ডিআইইউ’র সিনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেকটর (পাবলিক রিলেশন্স) আনোয়ার হাবিব কাজল এবং ডিআইইউ ‘ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট সেন্টার’ (সিডিসি)-এর সমন্বয়ক ও জেএমসি শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম রাতুল। ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন জেএমসি শিক্ষক এনায়েতুর রহমান।

নগদ’র হেড অব মিডিয়া সুজন মাহমুদ বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানকে যে যত দক্ষভাবে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে পারবেন, তিনি পাবলিক রিলেশন্সে তত ভালো করবেন ও সফল হবেন। এক্ষেত্রে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা শিক্ষা এবং মিডিয়ায় কাজ করার অভিজ্ঞতা একজনকে পাবলিক রিলেশন্সে সফল করে তুলতে পারে।

ক্যারিয়ার গঠন বিষয়ে তিনি শিক্ষার্থীদেরকে শুরুতে সাংবাদিকতায় অভিজ্ঞতা অর্জন এবং তারপর পাবলিক রিলেশন্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতায় অভিজ্ঞতা অর্জন করলে যেমন মিডিয়ার জন্য লেখার স্টাইল রপ্ত করা যায়, তেমনি সাংবাদিক ও মিডিয়ার সাথেও সম্পর্ক গড়ে তুলা সম্ভব হয়। এই নেটওয়ার্ক পাবলিক রিলেশন্সের কাজে খুব সাহায্য করে।’

সুজন মাহমুদ বলেন, ‘গণযোগাগের ওপর পড়াশোনা এবং সাংবাদিকতায় কাজের অভিজ্ঞতা এ দু’টি বিষয় পাবলিক রিলেশন্সে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’ এক্ষেত্রে তিনি তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল প্রধান শিক্ষিকার  

ডিআইইউ জেএমসি বিভাগের প্রধান ড. শেখ শফিউল ইসলামের মতে যোগাযোগ বিদ্যা’র যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে জনসংযোগে সফল হওয়া সম্ভব।

তিনি বলেন,‘যোগের চাহিদা মেটানোর জন্য আমরা নিয়মিত সিলেবাস সংশোধন করছি। বর্তমানে জেএমসি বিভাগে পাবলিক রিলেশন্স নামে একটি কোর্সই পড়ানো হচ্ছে। এছাড়া গণযোগাযোগ ও ডিজিটাল কমিউনিকেশনের অনেক কোর্স পড়ানো হচ্ছে, যা বর্তমানের চাহিদা অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থীকে দক্ষ যোগাযোগবিদ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক কাজের জন্য জেএমসি বিভাগ উন্নতমানের ডিজিটাল ল্যাব এবং টিভি ও রেডিও স্টুডিও চালু করেছে। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাস টিভি, ক্যাম্পাস রেডিও, প্রমিনেন্ট নিউজ পোর্টাল এবং জেএমসি গেজেট নামে অনুশীলন সংবাদপত্র ইত্যাদি মাধ্যম চালু করা হয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন।

ডিআইইউ’র সিনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেকটর (পাবলিক রিলেশন্স)আনোয়ার হাবিব কাজলও ব্যবহারিক কাজের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরত্বারোপ করেন। শেষে আলোচকগণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

ইত্তেফাক/এএএম