শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শিক্ষার্থীদের হল খোলার আন্দোলনকে ‘যৌক্তিক’ বললেন শাবি উপাচার্য

আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২২:১১

আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ২য় ধাপের পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে হল না খুলে পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়ায়, গতকাল শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৫টা হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

এক পর্যায়ে, ভিসি বাসভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় ‘হল খোলার আন্দোলনের যৌক্তিকতা’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে তুলে ধরে তারা। এমনকি, ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হল খোলার সিদ্ধান্ত না আসলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আল্টিমেটামও দেয় শিক্ষার্থীরা।
তবে এ আন্দোলনকে ‘যৌক্তিক’ দাবি করে, হল খোলার বিষয়ে সরকারী সিদ্ধান্ত’র প্রতি লক্ষ্য রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহŸান জানান, শাবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য দৈনিক ইত্তেফাককে তিনি বলেন, হল খোলার ব্যাপারে তাদের আন্দোলন যে যৌক্তিক এটা আমরা স্বীকার করি। তবে, অবশ্যই সরকারের সাথে সমন্বয় করে আমাদের কাজটা করতে হবে। রাষ্ট্রীয় কোন সিদ্ধান্ত আসলে সেটা মানতে আমরা বাধ্য। তার বাইরে যাওয়ার আমাদের কোন ক্ষমতা নেই। শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটাম দিতে পারে। তাদের সে স্বাধীনতা আছে। কিন্তু আমরা হল না খুলে পরীক্ষা নিবো না। আমরা যদি পরীক্ষা নেই তাহলে হল খুলে দিবো।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা কোন ধরণের নোটিশ ছাড়া আন্দোলনে নামছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রতিষ্ঠান। এখানে কোন সিদ্ধান্ত নিতে গেলে কতগুলো নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। এক্ষেত্রে, দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার তারিখ এবং হল খোলার বিষয়ে সমন্বয় করবো। এক কথায়, হল না খুলে পরীক্ষা নিবো না। 

উল্লেখ্য, ‘হল খোলার আন্দোলনের যৌক্তিকতা’ নিয়ে শিক্ষার্থীদের লিখিত বিষয় সমহূ হলো, বিভিন্ন বাসা এবং মেসে মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে, প্রত্যেক ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সিলেট চলে আসায় প্রত্যেকে আবাসন সংকটে ভুগছে, যেহেতু সবাই মেসে আছে পরের মাসে হল খুললে তাদের ঐ মেস ভাড়া দিতে হবে, প্রত্যেক মেসেই শিক্ষার্থীরা চার জনের জায়গায় দশজন বা তারও বেশী অবস্থা করছে। সবশেষে, শিক্ষার্থীদের এ যৌক্তিক দাবিগুলোর প্রেক্ষিতে হল খুলে দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানায় তারা।

এর আগে, হল বন্ধ রেখে গত ১৭ জানুয়ারী হতে মাস্টার্স ও অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রথম ধাপের পরীক্ষা নেয় শাবি প্রশাসন। যেখানে প্রথম ধাপের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ইত্তেফাক/এনএ