শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাবিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৪১ জনের যোগদান স্থগিত

আপডেট : ০৮ মে ২০২১, ১৯:৩৫

সদ্য নিয়োগ পাওয়া ১৪১ জনের যোগদান স্থগিত করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন (রাবি)। শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করায় নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগদান কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

শনিবার (০৮ মে) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ মে রাবিতে দেওয়া এডহক নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। এ জন্য তদন্ত কমিটির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত উক্ত নিয়োগপত্রের যোগদান এবং তদন্ত সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হলো।

রাবির বিদায়ী উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহানের মেয়াদ শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার (৬ মে)। আগের দিন তিনি অস্থায়ী ভিত্তিতে ১৪১ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে যান। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই নিয়োগকে অবৈধও বলেছে মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে। সদস্য সচিব হলেন- ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. জাকির হোসেন আখন্দ।

শনিবার পৌনে ১১টার দিকে কমিমটির সদস্যরা রাবি যান। প্রথমে তাঁরা ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য (রুটিন দায়িত্বে) অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহার দফতরে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তদন্ত কমিটির ডাকে উপাচার্যের দফতরে যান সদ্য বিদায়ী উপাচার্য আবদুস সোবহান। তদন্ত কমিটি তাঁর সাক্ষাৎকার নেন।

পরে বিকেল চারটার দিকে তিনি ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, এই নিয়োগ আইনের পরিপন্থী নয়। কারণ, উপাচার্যকে ৭৩ এর অধ্যাদেশে এ ক্ষমতা দেওয়া আছে। আমি মানবিক কারণে তাঁদের চাকরি দিয়েছি। যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের এবং আওয়ামী পরিবারের।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে এই নিয়োগ অবৈধ এবং নিয়মবহির্ভূত। সুতরাং যারা এই নিয়োগের সঙ্গে সম্পৃক্ত আমরা তাঁদের সাক্ষাৎকারের আওতায় এনেছি। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা একটা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।

ইত্তেফাক/এনএ