শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নজিরবিহীন’

আপডেট : ১১ জুন ২০২১, ২২:২২

অনলাইন সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে হতে যাওয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন বিভাগের নতুন ছয়জন শিক্ষক নিয়োগের ঘটনাকে নজিরবিহীন ও বিভাগের দীর্ঘদিনের কনভেনশন লঙ্ঘন বলে দাবি করেছেন বিভাগটির আটজন শিক্ষক। 

গতকাল শুক্রবার (১১ জুন ) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তারা।

No description available.

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, আগামী ১২ জুন দর্শন বিভাগে ছয়জন শিক্ষক নিয়োগের সাক্ষাৎকার অনলাইনে নেওয়া হবে বলে আবেদনকারীদের জানানো হয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন অধ্যাদেশ পাশ করানো হয়েছে এবং চূড়ান্ত পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়াকে আমরা যথাযথ মনে করছি না। সেখানে শিক্ষক নিয়োগের মত গুরুত্বপূর্ণ যাচাই পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। 
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং বিভাগীয় সভাপতি তাদের মেয়াদের শেষ সময়ে এসে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে অনলাইনে গণনিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছেন।

এ সময় অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, নতুন শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে দর্শন বিভাগের শিক্ষাপর্ষদের সভায় কোন আলোচনা হয়নি। অথচ গত ফেব্রুয়ারিতে নতুন ছয়জন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে বিভাগের দীর্ঘদিনের কনভেনশন লঙ্ঘন করা হয়েছে। একসঙ্গে এতজন শিক্ষক নিয়োগ বিভাগে অপ্রয়োজনীয় এবং এটি দুরভিসন্ধিমূলক।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, ফরিদ আহমেদ, মো. মন্জুর ইলাহী, মো. জাকির হোসেন, সহকারী অধ্যাপক আবদুছ ছাত্তার ও মোহাম্মদ উল্লাহ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দর্শন বিভাগের এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হাইকোর্টে রিট করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, জাকির হোসেন ও সহকারী অধ্যাপক আবদুছ ছাত্তার।

এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন এবং দর্শন বিভাগের সভাপতিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান অ্যাডভোকেট ড. সৈয়দা নাসরিন। দর্শন বিভাগের আটজন শিক্ষকের পক্ষে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। এর আগে গত বুধবার এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধে ইউজিসির চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদনও করেন ওই আট শিক্ষক।


ইত্তেফাক/এনএ