রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সম্প্রতি ‘এডহকে' নিয়োগপ্রাপ্তরা বিশ্ববিদ্যালয়টির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান আল আরিফকে নিজ দফতরে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। আজ রবিবার (২০ জুন) বেলা ১১টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দিলে নিজ দফতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন কোষাধ্যক্ষ।
এডহকে নিয়োগপ্রাপ্তদের কয়েকজন বলেন, ‘সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আমরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহার আজ বেলা ১১ টায় পদায়নের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি প্রশাসন ভবনে তার নিজ দফতরে আসেননি। আমরা তাকে ফোন করে তার দফতরে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু মোবাইল ফোনে তিনি একই কথা বলেছেন তার কোনো কিছু করার নেই। তাই বাধ্য হয়ে আমরা বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি প্রশাসন ভবনে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি।’
বেলা ১১টার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ প্রশাসন ভবনে তার নিজ দফতরে ঢুকলে তিনি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। নিয়োগপ্রাপ্তের ব্যাপারে পজেটিভ কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত তাকে প্রশাসন ভবন থেকে বের হতে দেব না।
এডহকে নিয়োগপ্রাপ্ত ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারদিন বলেন, ‘রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা আমাদের সঙ্গে বার বার প্রতারণা করছেন। গতকাল আমরা তার সঙ্গে তার বাসভবনে দেখা করতে গিয়েছিলাম, তিনি শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে কথা বলে আজ রবিবার বেলা ১১টায় এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বলে ছিলেন। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন নি। এবিষয়ে তিনি আমাদের কিছু জানানওনি। তাই আমাদের নিজ নিজ পদে পদায়ন না করা পর্যন্ত চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
অবরুদ্ধ কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘পদায়নের বিষয়টি আমার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। আর মন্ত্রণালয়ের যেহেতু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাই এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
নিয়োগপ্রাপ্তদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ইত্তেফাক
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ‘যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে রয়েছেন তিনি এই বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।’
তবে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ইত্তেফাক/কেকে