মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চাঁদাবাজির অভিযোগে ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২১, ০০:২৩

রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কর্মচারীর কাছে থেকে চাঁদা দাবি ও তাকে মারধর করার অবিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের আকতারুল করিম রুবেল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।

সোমবার (২৬ জুলাই) ইনস্টিটিউটের কর্মচারী মনির হোসেনর করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
গ্রেফতার আকতারুল করিম রুবেলের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। ক্যাম্পাসের আশেপাশের এলাকায় তিনি ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রাজা’ হিসেবে পরিচিত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক।

রুবেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও বাংলা বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। মাদক বিক্রির পাশাপাশি রুবেলের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইের অভিযোগ রয়েছে।

শাহবাগ থানা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মনির ও তার দুই সহকর্মী নাস্তা করার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল থেকে হোটেলে যাওয়ার পথে ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের সামনে আকতারুল করিম রুবেল ও তার সহযোগীরা পথরোধ করে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। এসময় দাবি করা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের ব্যাপক মারধর করা হয়। তাদের চিৎকারে অন্য কর্মচারীরা ছুটে এসে আকতারুলকে আটক করে। পরে শাহবাগ থানা পুলিশ তাকে হাজতে নিয়ে নেয়।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আকতারুল করিম রুবেল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। পরে তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী মনির হোসেন চাঁদা দাবি ও হামলা করার অভিযোগে মামলা করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আমরা আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, আমি জানতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী অন্য একটা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদাবাজি ও মারধরের ঘটনায় আটক হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের কোনো কর্মীরই কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুযোগ নেই। ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রশ্রয় পাবে সেটিরও কোনো সুযোগ নেই। যদি সে অপরাধ করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সে ব্যাপারেও আমরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ইত্তেফাক/এনএ