ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রোকেয়া হলের ফটকে অনশনে থাকা পাঁচ ছাত্রী হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে হলটির প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদা বলেছেন, ছাত্রীরা হলের গেটের বাইরে গিয়ে অবস্থান করছেন। সেখানে হেনস্তার হওয়ার ঘটনাটি আমাদের কনসার্ন না। আমাদের কনসার্ন হচ্ছে তাদের গেটের বাইরে থেকে হলের ভেতরে নিয়ে আসা।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
জিনাত হুদা বলেন, ১১ মার্চ নির্বাচনের আগের দিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬টি ব্যালট বাক্স এবং ৩টি ট্রাংকসহ কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য চার হাজার ৬০৮টি এবং হল সংসদের জন্য চার হাজার ৬৩৮টি ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হয়। ভোটের দিন ৬টি ব্যালট বাক্স ভোট কেন্দ্রে রাখা হয়। আর বাকি তিনটি ট্রাংক দুই হাজার ৬০৮টি ব্যালট পেপারসহ পাশের রুমে রাখা হয়। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। পরে ওইগুলো সব প্রার্থীকে দেখানোও হয়। সেগুলোতে কোন সিল মারা ছিল না।
আরো পড়ুন: যাও জিতে এসো: নুসরাতকে বললেন মমতা
এদিকে ডাকসুর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রীদের হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ করা হয়। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন রাব্বানী।
তিনি বলেন, হলের গেট খোলা রেখে ছাত্রীদের অবস্থানের কথা শুনে অন্য শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি এখানে এসেছেন। এসে দেখেন, কয়েকজন মদ-গাঁজা খেয়ে এখানে আন্দোলন করছেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ হওয়া ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগ এনে হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে রোকেয়া হলের পাঁচছাত্রী গেটের বাইরে অনশন শুরু করেন।
তারা হলেন- ইসলামিক স্টাডিজের রাফিয়া সুলতানা, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সায়েদা আফরিন, একই বিভাগের জয়ন্তী রেজা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শ্রবণা শফিক দীপ্তি ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রমি খিশা।
রোকেয়া হলের এই ছাত্রীদের অনশনে সংহতি জানান কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ও ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারীর লাঞ্ছনা ও হেনস্তার অপসংস্কৃতি চালু করতে চায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
ইত্তেফাক/জেডএইচ