তুচ্ছ ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন জুনিয়র কর্মী এক সিনিয়র কর্মীকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ছাদে মারধরের ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার শেখ ইউসুফ বাপ্পী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনিও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। অপরদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলো, সংস্কৃত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জেমস, প্রথম বর্ষের আল-আমিন এবং রাজু হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খুলনা জেলা সমিতির অনুষ্ঠান উপলক্ষে রবীন্দ্র ভবনের ছাদে বাপ্পীসহ কয়েকজন রিহার্সেল করছিলেন। অভিযুক্তরাসহ আট-দশজন সেখানে এসে জেলা সমিতির সভাপতি নাজমুল ও বাপ্পীকে পাশে ডাকেন। সেখানে উপস্থিত হতেই তারা বাপ্পীকে রড দিয়ে পিঠে ও হাতে উপুর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় আঘাতে বাপ্পীর ডান হাত গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টার থেকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
অভিযুক্ত জেমস মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিভাগের ছোট ভাই আল-আমিনের সঙ্গে বাপ্পীর একটু ঝামেলা হয়েছিল। আমি, রাজু ও আল-আমিন সেই বিষয়টি নিয়েই কথা বলতে গিয়েছিলাম। সেখানে একটু উচ্চবাচ্য হলেও মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।’
আরও পড়ুনঃ ধর্ষণের মামলা তুলে না নেওয়ায় ছাত্রীকে দ্বিতীয়বার অপহরণ
জানতে চাইলে ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। কর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। আমি দুই পক্ষকে ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি।’
ইত্তেফাক/নূহু