বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ডাকসু নির্বাচনে কারচুপি হয়নি, সিন্ডিকেটের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ

আপডেট : ৩০ মে ২০১৯, ১৭:৫১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কোন কারচুপির ঘটনা ঘটেনি বলে সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে কিছু প্রার্থী ও প্যানেলের পক্ষ থেকে ভোটদানে বাঁধা প্রদান, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, ভোট কারচুপি, প্রার্থীদের ওপর হামলা, ভোট বাক্স নিয়ে লুকোচুরিসহ উত্থাপিত কিছু অভিযোগের বিষয়ে খতিয়ে দেখতে গত ২৮ মার্চ সিন্ডিকেটের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ২৯ মে বুধবার সিন্ডিকেটে উপস্থাপিত হয়।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে কোন কারচুপির ঘটনা ঘটেনি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, অভিযোগকারী কতিপয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থী রোকেয়া হলে 'ব্যালট-বাক্স' এবং 'ব্যালট পেপার রক্ষিত ট্রাঙ্কের' মধ্যে তফাৎ বুঝেনি এবং কিছু গণমাধ্যমও এ ব্যাপারে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। একেবারেই ভুল বুঝাবুঝির জন্য এ ধরনের একটি পরিস্থিতির উদ্রেক হয়েছিল। কোন শিক্ষার্থী কোথাও একাধিকবার ভোট দিয়েছে বা একজনের ভোট অন্যজনে দিয়েছে বা কোন শিক্ষার্থী ভোট দিতে চেয়েছে কিন্তু ভোট দিতে পারেনি এমন সব ঘটনার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে ভোট গ্রহণ কার্যক্রমে ধীরগতি আনার জন্য দুই-একটি ভোটকেন্দ্রে কৃত্রিমভাবে দীর্ঘ লাইন করা হয়েছে এবং ভোট কেন্দ্রের বাইরে শিক্ষার্থী-ভোটারদের মাঝে অযাচিত কিছু বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে।তবে এসবের কারণে ভোট প্রদান ও ভোট গ্রহণের সার্বিক কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্ত হয়নি এবং ভোটের ফলাফলে কোন প্রভাব পড়েনি। তাই এ অভিযোগের ভিত্তিতে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি যুক্তিসঙ্গত নয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভবিষ্যতে ডাকসু নির্বাচন সুন্দর করার জন্য ভোট প্রদানে অমোচনীয় কালি ব্যবহার, ব্যালট পেপারে সিরিয়াল নম্বর রাখা এবং ভোট প্রদান ও গ্রহণে আরও স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করলে অনেক অযাচিত বিতর্কের অবসান ঘটবে। পাশাপাশি প্রতিবেদনে ডাকসু নির্বাচনে একজন প্রার্থী মো.রাশেদ খান তদন্ত কমিটির সাক্ষাৎকারের কথোপকথন গোপনে মোবাইলে রেকর্ড করে তা পছন্দমাফিক এডিট করে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করে গর্হিত কাজ করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় এবং সেজন্য তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। মূলত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভিত্তিহীন তথ্য তথা গুজব ছড়িয়ে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার একটি প্রয়াস কোন কোন মহলের ছিল বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন:  প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত ১২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র প্রস্তুত: সিআইডি

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরুর আগেই ভোটকেন্দ্র সংলগ্ন একটি কক্ষ থেকে ব্যাগ ভর্তি ব্যবহৃত ব্যালট উদ্ধারের অনাকাঙ্খিত ঘটনাটির বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল এবং বিষয়টি স্বতন্ত্র তদন্তাধীন রয়েছে,তাই এটি উল্লিখিত তদন্ত কমিটির আওতাভুক্ত ছিল না।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি