শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা প্রতিষ্ঠান প্রধান

আপডেট : ১৪ জুলাই ২০১৯, ১৯:৪৮

রাজশাহীর পবা উপজেলার ইউনাইটেড টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে বিএসসি কোর্সে ভর্তির পর বিপাকে পড়েছেন ৩০ শিক্ষার্থী। তাদের শিক্ষাজীবন প্রায় অনিশ্চিত। প্রত্যেক শিক্ষার্থী ৪০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করেও পরীক্ষায় বসতে পারেনি। ৩০ শিক্ষার্থীর ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে হদিস মিলছে না কলেজটির ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসানের। এ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় শাহমখদুম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, গত ২৭ জুন থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ অন্য ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গুলোর একই শিক্ষাবর্ষের (২০১৮-১৯) শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু হলেও তাদের পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা করেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ৩০ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে, তারা কিছু জানেন না উল্লেখ করে ইন্সটিটিউটের ব্যবস্থাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। দেখা করতে না পেরে মোবাইলে যোগাযোগ করলেও তাদের কল রিসিভ করেননি ব্যবস্থাপক।

পরে গত ২ জুলাই ভুক্তভোগীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শকের দফতরে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, ইন্সটিটিউট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের রেজিস্ট্রেশন করেনি। ফলে তারা ইন্সটিটিউটে নির্ধারিত ফিস জমা দিয়ে ভর্তি হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়। তাদের পরীক্ষা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পবা উপজেলা পরিষদের দক্ষিণে অবস্থিত ইউনাইটেড বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও ইউনাইটেড টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট কলেজ এই দুইটি নামে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে দুইটি আবাসিক ভবনে।

এ বিষয়ে জানতে পবা উপজেলা পরিষদের দক্ষিণে অবস্থিত ওই ইন্সটিটিউটে গিয়েও মহাব্যবস্থাপক মেহেদী হাসানের দেখা মেলেনি। পরে তার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। 

শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ওই ইন্সটিটিউটের রিসিপশনিস্ট নিপা নামে একজন মোবাইলে জানান, ইন্সটিটিউটের এমডি মেহেদী হাসান দেশে নেই। কবে আসবেন তাও তিনি বলতে পারেন না।

আরও পড়ুন: ১ম শ্রেণির কন্যা শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা

শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন না হওয়া এবং টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ হওয়ায় প্রতি বছর নবায়ন করতে হয়। টাকার অভাবে নবায়ন করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় ভর্তি হতে পারছে না। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের টাকা এমডি ফেরত দিতে চেয়েছেন। 

শাহমুখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ পারভেজ বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ইত্তেফাক/অনি