শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সিরাজগঞ্জে ২১৫ বিদ্যালয় বন্যা কবলিত, নদী গর্ভে বিলীন ৬

আপডেট : ১৮ জুলাই ২০১৯, ১৬:০৭

সিরাজগঞ্জে যমুনার নদীর পানি বিপদসীমার ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা, কলেজসহ মোট ২১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ইতিমধ্যে জেলার কাজিপুরে একজন শিক্ষার্থী পানিতে ডুবে মারা যাওয়ায় অভিভাবকরা সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতেও আগ্রহী হচ্ছেন না। 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যা কবলিত বিদ্যালয় গুলোর মধ্যে রয়েছে কাজিপুরে ৮৬টি, চৌহালিতে ১৯টি, সিরাজগঞ্জ সদরে ২৫টি, শাহজাদপুরে ৬৫টি এবং বেলকুচিতে ২০টি। ইতিমধ্যে চৌহালি উপজেলার এ্যাওয়াজী কাঠালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিদাশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চৌবারিয়া পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিলজলহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেলকুচি উপজেলার রতনকান্দি সোহাগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বেতুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। 

হুমকির মধ্যে রয়েছে বেলকুচি উপজেলার চর বেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেহের নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং শাহজাদপুর উপজেলার বাঐখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।  

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে চৌহালি উপজেলায় ২১টি, কাজিপুর উজেলায় ১৯টি শাহজাদপুর উপজেলায় ১০টি, বেলকুচি উপজেলায় ১০টি এবং সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭টি বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কলেজ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এদিকে  বন্যার পানির প্রবল তোড়ে  জেলার কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া কেবি উচ্চ বিদ্যালয় ও নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রবেশের রাস্তা ধসে পড়েছে। 

কাজিপুর  উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন জানান, বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরও শতাধিক প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হতে পারে। 

আরও পড়ুন: রিফাত হত্যার ৩ নম্বর আসামি রিশান ফারাজী গ্রেফতার

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, বন্যার পানি স্কুলে প্রবেশ করলেও কিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বিকল্প স্থানে পড়াচ্ছেন। 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা জানান, বন্যা কবলিত বিদ্যালয় গুলো পাশের উঁচু বাড়ি বা ক্লাবে পাঠদান অব্যাহত রয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদরে ৪টি, কাজিপুরে ৭টি, বেলকুচিতে ২টি এবং চৌহালিতে ২টি বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পাঠদানও অব্যাহত আছে।

ইত্তেফাক/অনি