শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চবিতে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম: শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ

আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০১৯, ১৯:১২

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১৪২ জন কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের আজ সোমবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, সাবেক প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিনসহ ৭০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী রয়েছেন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে প্রায় ৭০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীকে ডাকা হয়েছে। তাতে প্রথম দফায় আজ ১২ জনের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। বাকিদের আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে দুদক কার্যালয়ে।

এর আগে গত ২৩ জুলাই দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়-১ এর তদন্তকারী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি চবি রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো হয়। যেখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিধিবহির্ভূত নিয়োগের অভিযোগ আনা হয়। 

দুদক কর্তৃক পাঠানো তালিকায় দেখা যায়, প্রথমেই নাম রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদের। এছাড়া তালিকায় আরও নাম রয়েছে তৎকালীন নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সাবেক প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী এবং সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদের। এতে আরও নাম রয়েছে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শফিউল ইসলাম, পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. রাশেদ উন নবী চৌধুরী, শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. গোলাম কবির এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত হিসাব নিয়ামক ফরিদুল আলম।

আরও পড়ুন: বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের ফাঁসি

এ ব্যাপারে দুদক কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম জানান, সোমবার থেকে চবির ৭০ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পর্যায়ক্রমে ডাকা হচ্ছে। যা আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।

ইত্তেফাক/কেকে