বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জাবিতে ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ

আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:০৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি ও পদযাত্রা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদী নাটক পরিবেশন করেন শিক্ষার্থী। এদিকে শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগ।

রবিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। কর্মবিরতি চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে থেকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে পদযাত্রা বের করেন তারা। পদযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এসময় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনাগুলো ঘটছে এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং চ্যান্সেলর কার্যালয়ের অবহিত থাকার কথা। এসব নিয়ে সারাদেশে এখন প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের টাকায় চলে। সেক্ষেত্রে এখানে কি হচ্ছে সেটা জানার অধিকার দেশের জনগণের আছে।

বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম তালুকদারের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভুঁইয়া, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, অধ্যাপক খবির উদ্দিন, অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক রায়হান রাইন প্রমুখ।

আরও পড়ুন : এরশাদের আসনে জাপার প্রার্থী সাদ

একই দাবিতে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১টায় সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনের থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শিক্ষকদের প্রতিবাদ সমাবেশে গিয়ে সংহতি প্রদানের মাধ্যমে শেষ হয়। এর আগে সাড়ে ১২টায় সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে প্রতিবাদী নাটক ‘নন ফিকশন’ পরিবেশন করে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার।

এদিকে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ও এক সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নেতাকর্মীরা। দুপুর তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্ত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শাখা ছাত্রলীগ। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারের পাদদেশে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। 

সমাবেশে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের চাপে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। যে অভিযোগ তোলা হয়েছে আসলেই যদি তেমন কোন ঘটনা ঘটে থাকে তবে দুজনকে ডেকে তদন্ত করুন। তদন্ত সাপেক্ষে আমার কর্মী অপরাধী হলে তার দায়িত্ব আমি নিয়ে সংগঠন থেকে বিচার করবো।’

তড়িঘড়ি করে শাখা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে এজহার দায়ের প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘শনিবার সাবেক এক ছাত্রের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। যে মেরেছে সে সাবেক ছাত্র। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। এইজন্য আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’

ইত্তেফাক/কেআই