শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সেই রোহিঙ্গা তরুণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার

আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:০৫

আসল পরিচয় গোপন করে নকল জন্ম সনদ বানিয়ে ক্যাম্পের বাইরে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ ও বাংলাদেশি নাগরিকত্ব লাভ করেন রাহিমা আক্তার ওরফে রাহী খুশি। ইতোমধ্যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষাও গ্রহণ করছেন। 

রাহী খুশির রোহিঙ্গা পরিচয় সামনে আসার পর তার বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বহিষ্কার করেছে। তিনি কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (সিবিআইইউ) থেকে পড়াশুনা করছিলেন। পড়ছিলেন এলএলবি অনার্সে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আবুল কাশেম জানান, খুশির পরিচয় প্রকাশ হওয়ার পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার সনদসহ অন্যান্য তথ্যাদি যাচাই করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: ‘অবৈধ অভিবাসীদের জন্য মুম্বাইয়ে তৈরি হচ্ছে আটক কেন্দ্র’

১৯৯২ সালে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে রাহী খুশির বাবা-মা আশ্রয় নেন কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এরপর রোহিঙ্গা ক্যাম্পেই জন্ম রাহী খুশির। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা। রাহিমা আক্তার থেকে হয়ে যান রাহী আক্তার খুশি। তার বাবার নাম মোহাম্মদ ইলিয়াস। মায়ের নাম মিনু আরা।

কক্সবাজার শহরের বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি থেকে এসএসসি ও কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। এরপর তিনি কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন।

সম্প্রতি জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে রোহিঙ্গা তরুণী রাহি খুশিকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রচার করে। এতে তার লেখাপড়া ও জন্মনিবন্ধনের বিষয়টি সামনে চলে আসে। 

প্রতিবেদনে দেখা যায়, উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে একটি এনজিওর কর্মী হিসেবে রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন খুশি। এর পরই বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে নানান খবর ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়।

ইত্তেফাক/জেডএইচ