ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতার ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি ও অসৌজন্যমূলক আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। বুধবার বেলা ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির সভায় বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতার এমন হুমকি প্রদান করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে মিছিল করে ছাত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। পরে বিদ্রোহী গ্রুপের বহিরাগত শিশির ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী ভাইস-চ্যান্সেলর সভাকক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দ ছাত্রলীগ কর্মীদের সভায় কথা না বলে পরে আসতে বলেন। ওই সময় উত্তেজিত বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা ভাইস-চ্যান্সেলরকে সেক্রেটারি রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে বহিষ্কার করতে চাপ প্রয়োগ করেন। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেওয়ার হুমকিও দেয় সে। এই ঘটনায় কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সরোয়ার মোর্শেদসহ শিক্ষকবৃন্দ ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে সভাস্থল ত্যাগ করেন।
ছাত্রলীগ নেতা শিশির ইসলাম বাবু বলেন, 'বর্তমান এই কমিটি বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভিসি স্যার জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে মাঠে থাকবে।'
আরও পড়ুন: বন্ধুত্ব ও উন্নয়নের জন্য পর্যটন প্রসারে ঐকমত্য
প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সভাপতি রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত বার্ষিক কর্মসম্পদান চুক্তির মত একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় অনুমতিহীন একদল শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করে যে অনভিপ্রেত আচরণ করেছে সেটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমরা মর্মাহত হয়েছি।'
সামাজিক বিজ্ঞান ও কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সরওয়ার মুর্শেদ বলেন, 'একজন শিক্ষক হিসেবে আমি লজ্জিত, ব্যর্থ। একজন শিক্ষার্থী কিভাবে শিক্ষকদের সভায় প্রবেশ করে ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতে পারে?'
শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দীন বলেন, 'আমি বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না। শিক্ষার্থীরা সভাকক্ষে কিভাবে প্রবেশ করে ?'
বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেন, 'শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে জন-গুরুত্বপূর্ণ সভায় প্রবেশ করা সমীচীন নয়। আমি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শিক্ষার্থী সুলভ আচরণ প্রত্যাশা করি। ইবি ছাত্রলীগকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা উচিত।'
ইত্তেফাক/জেডএইচডি