শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বশেমুরবিপ্রবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভিসি পতনের আন্দোলন

আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:০৫

বৃষ্টি উপেক্ষা করেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে ৪ দিন গড়িয়ে ৫ম দিনে পড়েছে ভিসি ড. প্রফেসর খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পতনের আন্দোলন।

রবিবার বিকাল থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ১৬ ঘণ্টা বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনেই অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন করে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আইন বিভাগের ছাত্র সোহাগ হোসেন বলেন, বৃষ্টিসহ যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন ভিসির পদত্যাগ না করিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো না। এ কষ্ট আমাদের কষ্ট মনে হচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলা, অর্থনীতি, সিএসিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের গায়ে হাত পড়েছে। আমাদের ২০ সহপাঠী আহত হয়েছে। বোনদের ওপরও হাত দেয়া হয়েছে। হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচতে বিলে ঝাঁপিয়ে তারা আত্মরক্ষা করেছে। এখান আমরা ভিসি পতনের আন্দোলনে অনড় স্থানে রয়েছি। হল ত্যাগ না করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের মধ্যেও খেয়ে না খেয়ে আমরা আন্দোলন করছি। সেই কষ্টের কাছে বৃষ্টি কিছুই না। কোন কিছুই আমাদের আন্দোলন দমাতে পারবে না।

বিভিন্ন দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, বিনা কারণে অন্যায়ভাবে বহিষ্কারসহ শিক্ষার্থীদের বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, শিক্ষকদের মানসিক নির্যাতন, কথায় কথায় শোকজসহ ভিসির নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। 

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কারের পর ফেসবুকে ব্যাপক প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ১৮ সেপ্টেম্বর জিনিয়ার বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহারের পর  ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভিসি পতনের আন্দোলনে নেমে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচী শুরু করে। 

২১ সেপ্টেম্বর আন্দোলন বানচাল করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়ে  আবাসিক হলের খাবার, পানি, বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। একইসঙ্গে বহিরাগত ও ভাড়া করা স্থানীয় সন্ত্রাসী দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে ভিসির  বিরুদ্ধে। তবে ভিসি হামলার কথা অস্বীকার করেছেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সহকারী প্রক্টর পদ থেকে অব্যাহতি নেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হুমায়ুন কবির। এছাড়াও উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্য জাপান ভ্রমণ বাতিল করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন গণিত বিভাগের শিক্ষক মিনারুল হক।

ইত্তেফাক/জেডএইচ